মিরাজুল কবীর টিটো : যশোরে তীব্র তাপ প্রবাহ চলছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এ জেলার মানুষ। শুক্রবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অসহনীয় তাপমাত্রা ছিলো যশোরে। রাস্তায় চলাচল করতেও বেগ পেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ‘লু’ হাওয়া বইছে যেন শহরে। পাঁকা রাস্তায় চলতে গিয়ে গরম যেন ছিটকে এসে লাগছে শরীরে।
যশোরের বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার যশোরে ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৩৯ শতাংশ। এর আগে ২৩ এপ্রিল সারা দেশের মধ্যে যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার ভোর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা আরো বেড়ে যায়। বাতাস না থাকায় গরমে কাহিল হয়ে পড়ে প্রাণিকুল। ঘরে ও বাইরে কোথাও যেন স্বস্তি নেই। তীব্র তাপদহের কারনে সবখানে মানুষের মাঝে অস্বস্তি বিরাজ করেছে। অনেকেই গরম থেকে রক্ষা পেতে গাছের ছায়া তলে আশ্রয় নেয়। তাতে যেন প্রশান্তি মিলছে না। বেশি কাহিল হয়ে পড়ছে কৃষিশ্রমিকরা। তারা জমি থেকে ধান এনে শুকাতে গিয়ে কাহিল হয়ে পড়ছে। শাক সবজি ও মাছের খামারে কাজ করতে গিয়ে রীতিমতো কাহিল হয়ে পড়ছেন তারা। তীব্র গরমে ছোট যানবাহন চালাতেও বেগ পেতে হয়েছে চালকদের।
সদর উপজেলার তালবাড়ীয় গ্রামের কৃষক আইয়ুব হোসেন জানান, গত সপ্তাহে বৃষ্টিতে অনেক ধান ঝড়ে পড়েছে। ঝরে পড়া ধান জমি থেকে এনে সিদ্ধ শুকনো করতে হচ্ছে। কিন্তু এ কাজ করতে গিয়ে গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। একই কথা জানান, খাজুরার কৃষক রুবেল হোসেন।
তীব্র তাপদহের কারণে পিচে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে যেন হাফিয়ে উঠছে রিকসা, ভ্যান চালকরা। প্রচন্ড তাপ ছিটকে এস পড়ছে শরীরে। তারা বলছেন পিচের রাস্তা গরম উয়ে উঠায় তাপ বেশি চোখে মুখে লাগছে।
রিকসা চালক রেজাউল ইসলাম জানান, রিকসা চালাতে গিয়ে চোখে ঝাপসা লাগছে। এই গরমে বেশি সময় রিকসা চালানো যাচ্ছে না। এখন মানুষ তীব্র তাপদহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছে।
চাঁচড়া খামার ব্যবসায়ী বজলুর রহমান জানিয়েছেন, গরমে পুকুরের পানিতে নামা যাচ্ছে না। শরীরে লাগছে বেশ। বৃষ্টি না হলে মাছের ক্ষতি হয়ে যাবে। পুকুরের পানিতে মাছের রোগ বালাই বাড়বে।