নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিদায়ের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবচেয়ে কঠিন পথটি পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছি। বাকি পথটি পাড়ি দিতে হবে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ের মাধ্যমে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের পছন্দের সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে। কিন্তু আজ দেশে নির্বাচন নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলমান, তা থেকে পার হতে বিগত দিনের মত যদি আমরা একতাবদ্ধ থাকতে পারি, তাহলে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে জনগণের প্রত্যাশার বাংলাদেশ পুরণ করতে পারবো ইনশা আল্লাহ।
শুক্রবার সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন মহিলা দল ও যশোর নগর মহিলা দলের ৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখা আয়োজিত পৃৃথক দুটি মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও তৃণমূলে মহিলা দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পৃথক দুটি সমাবেশে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ের মহিলারা পর্দার অন্তরালে শক্তির আধাঁর ছিলেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশের ভিন্ন মতকে দমনের জন্য হত্যা,গুম, জুলুম, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছিল। তখন মহিলারা আমাদের সাহস ও শক্তি যুগিয়েছিলেন। শহীদ জিয়াউর রহমান নারীদের যৌতুকের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য যৌতুক বিরোধী আইন প্রণয়ন করেছিলেন। নারীদের মর্যাদা এবং সুযোগ সুবিধা অবারিত করার জন্য প্রথমে নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পরে জাতীয় মহিলা সংস্থা তৈরি করেছিলেন। নারী ক্ষমতায়নের জন্য মহান জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বৃদ্ধি করেছিলেন। তিনি গার্মেন্টসকে রপ্তানী মুখি শিল্পে পরিণত করেছিলেন। আজ সেই গার্মেন্টস সেক্টরে কর্মরত প্রায় ৪০ লাখ নারী শ্রমিকের অর্থে কার্যত দুই কোটি মানুষের ভরণ পোষণ হয়। শহীদ জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর তারই যোগ্য স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সাধারন মানুষের কাতারে এসেছিলেন। তিনিও মহিলাদের সুরক্ষায় স্বামীর পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন। নারীদের এসিড সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এসিড বিরোধী আইন প্রণয়নের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার যোগ্য উত্তরসূরী তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন, আগামীতে জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে আবারও নারীদের উন্নয়নে কাজ করবেন। তিনি মহিলাদের নামে পারিবারিক কার্ড করার ঘোষণা দিয়েছেন, সেই কার্ডের টাকা দিয়ে মহিলারা সন্তান লালন পালনসহ দৈনন্দিন সংসারের ব্যয় নির্বাহ করতে পারবে।
পৃথক দুটি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন ও দলের সাবেক সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খান। চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, ইউনিয়ন মহিলা দলের সভাপতি জেবুনেছা বেগম। অন্যদিকে নগর মহিলা দলের ৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি সভাপতি হেলেনা পারভিন।
পৃথক দুটি মহিলা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম, নগর মহিলা দলের সভাপতি শামসুন্নাহার পান্না, সাধারণ সম্পাদক সাবিহা সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আম্বিয়া মঞ্জুর মুক্তা, নগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারা পারভিন আনু প্রমুখ।