Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে মলমূত্রের জীবাণু মানুষের পায়ে পায়ে!

এখন সময়: শনিবার, ১০ মে , ২০২৫, ০৬:৪৩:৫২ এম

বিল্লাল হোসেন : যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে টয়লেটের নোংরা পানি ভাসছে। সেফটি ট্যাংকি থেকে উপচে পড়া পানি থেকে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পায়ে পায়ে এই পানি হাসপাতালে ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আবার মলমূত্রের এই পানি থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নাক- মুখ চেপে চলাচল করছেন রোগী ও স্বজনরা। এছাড়াও হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের টয়লেটে মলমূত্রের পানি ভাসছে। ফলে টয়লেট ব্যবহারকারীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অনেকেই রোগ জীবাণু নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের টয়লেট বাথরুমগুলো অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকে। নিয়মিত পরিস্কার করার নির্দেশনা থাকলেও পরিছন্নকর্মীরা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন। দীর্ঘদিন পরিস্কার না করার কারণে মল-মূত্রের পানি টয়লেটের মধ্যে ভেসে বেড়ায়। এছাড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের কয়েকটি সেফটি ট্যাংকি উপচে পড়ে মলমূত্রের পানি বের হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলে আসলেও যেনো কারো মাথা ব্যথা নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জরুরি বিভাগের সামনে এলাকায় মল-মুত্রের পানি ভাসছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে ওই পানির ওপর দিয়ে চলাচল করছেন। পায়ে পায়ে মলমূত্রের পানি ছড়িয়ে পড়ছে গোটা হাসপাতালে। প্রচণ্ড দুর্গন্ধের কারণে নাক মুখ চেপে যাতায়াত করছেন রোগী ও স্বজনরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্যেষ্ট সেবিকা জানান, জরুরি বিভাগের সামনে প্রায় মলমূত্রের পানি ভাসে। স্থায়ী ভাবে এর সমাধান করা প্রয়োজন। কেননা হাসপাতালের প্রবেশ মুখে যদি এই নোংরা পরিবেশ থাকে তাহলে রোগ জীবাণু সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে।
রোগীর স্বজন মামুন হোসেন জানান, হাসপাতালের পরিবেশ পরিষ্কার পরিছন্ন থাকা উচিত। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার সামনে যদি মলমূত্রের পানি ভাসে তাহলে সেটা অবশ্যই দুঃখজনক। অবস্থা এমন হলে সুস্থতা দূরে থাক, রোগীর সাথে স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে যাবে। হাসপাতালের পরিবেশ পরিস্কার রাখতে কর্তৃপক্ষের কঠোর হওয়ার আহবান জানান তিনি।
আরেক রোগীর স্বজন গোলাম রেজা জানান, তার রোগী মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। রোববার সকালে নিচে এসে দেখেন জরুরি বিভাগের সামনে মলমূত্রের পানি ভাসছে। তা দিয়ে প্রচন্ড দুগন্ধ বের হচ্ছে। সেফটিক ট্যাংকির গা বেয়ে পানি বের হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ডের টয়লেটের পরিবেশও খুব নোংরা। সেখানেও মল মূত্র ভাসে। এমন পরিবেশে মানুষ আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, মানুষের অসচেতনতার কারণে এমন অবস্থা তৈরি হচ্ছে। টয়লেটের মধ্যে প্যাড, মাংশের হাড়সহ নানা কিছু ফেলা হচ্ছে। যে কারণে বাথরুমের পানি আটকে গিয়ে ভেসে যাচ্ছে। এক প্রশ্নে তিনি আরও জানান, সেফটিক ট্যাংকির গোড়া দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে হয়তো মলমূত্রের পানি বের হচ্ছে। জানার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)