অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : মায়ার জীবনকে ছুটি দিয়ে চিরতরে অবসরে চলে গেলেন যুগশ্রেষ্ঠ আলেমেদ্বীন নওয়াপাড়া পীরবাড়ি মাদ্রাসার স্বনামধন্য মোহাদ্দিস হযরত মাওলানা আবু তালহা (কালিয়া হুজুর)। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে খুলনার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে এক মেয়ে অগনিত শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল (৬৮) বছর। জানা যায় প্রায় ৩ যুগ আগে দক্ষিণবঙ্গের সর্বাধিক প্রাচীন নওয়াপাড়া পীরবাড়ি মাদ্রাসার একজন শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। বসবাস করতেন মাদ্রাসা সংলগ্ন শিক্ষক পরিবারের জন্য সংরক্ষিত নির্ধারিত কোয়ার্টারে। মাদ্রাসায় শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি ছিলেন নওয়াপাড়ার একজন সুপরিচিত মুখ। যেকোন সামাজিক কিংবা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যেত প্রাণবন্ত আলেমেদ্বীন হিসাবে। রাজনৈতিক সামাজিক সকল শ্রেণী পেশার মানুষ তাকে সম্মান করতেন দ্বিধাহীনচিত্মে। বোখারী শরিফের দরস দেওয়ার পাশাপাশি এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড জামে মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করতেন। সম্প্রতি হঠাৎ অসুস্থ অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন তিনি। অবস্থার অবনতি হতে দ্রুত খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে নওয়াপাড়ায় নেমে আসে শোকের ছায়া। শেষবারের মত এক নজর দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন আত্বীয়স্বজন শুভাকাঙ্খী ও তার স্নেহের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাতে নওয়াপাড়া পীরবাড়ি মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজের ইমামতি করেন পীরবাড়ি মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব হয়রত মাওলানা মনিরুজ্জামান। নামাজে যানাজা শেষে নওয়াপাড়া পীরবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন নওয়াপাড়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, আবু তালহা হুজুরের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার বিদায়ে নওয়াপাড়াবাসী একজন গুনী আলেমেদ্বীনকে হারালো। তার অভাব সহজে পুরন হবে না।