কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধি: কপিলমুনিতে ধার্যকৃত খরচের টাকা দিতে অস্বীকার করায় মারপিট করে এক চাষীর ২৫ মণ ধান কেড়ে নিয়েছে ৩ দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই চাষী কপিলমুনির পার্শ্ববর্তী হরিদাশকাটি গ্রামের শেখ মতিউর রহমান থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, গত ১১ এপ্রিল বিকেলে শেখ মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী হাসিয়ারা বেগম (৪০) হরিদাসকাটি বিল থেকে তাদের জমির ধান ভ্যানে করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন, এসময় একই গ্রামের মৃত ঈমান সরদারের ছেলে খাইরুল সরদার (৩৫) এর নেতৃত্বে হরিঢালী ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর ভাই আলামিন গাজী (৩০) ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হরিঢালী গ্রামের উদয় দত্ত ও তাপস দত্তের ভাই পরেশ দত্ত (৩০) তাদের ভ্যানের গতিরোধ করে তাদের কাছে ত্রিশ হাজার টাকা চায়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা মতিয়ার ও তার স্ত্রী হাসিয়ারা (৪০) কে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে ভ্যানে থাকা ২৫ মণ ধান কেড়ে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা তাদের জীবননাশের হুমকি দেয়। কৃষক মতিয়ার জানান, কেড়ে নেয়া সমুদয় ধান খাইরুল সরদারের বাড়িতে রয়েছে। তিনি আরো জানান, ৯৯ বছরের সরকারি বন্দোবস্ত নিয়ে ২০০১ সাল থেকে দীর্ঘ ২৪ বছর স্থানীয় হরিদাসকাটি বিলে তিন বিঘা জমিতে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। আমার পরিবারে ৫ সদস্যের রুটি রুজির একমাত্র অবলম্বন এই জমিটা। এলাকায় নিজেকে বিএনপি’র বড় নেতা পরিচয়দানকারী খায়রুল সরদার ও তার সহযোগীরা মূলতঃ এই জমির জন্য নানারকম ভীতি প্রদর্শন করে টাকা দাবি করে। এছাড়া তার অন্যতম সহযোগী বহু বিতর্কিত পরেশ দত্ত ও নিজেকে বিএনপির ক্ষমতাধর নেতা দাবি করে তাকে ভীতি প্রদর্শন করে বলে তিনি জানান।
অভিযুক্ত ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল সরদার বলেন, আমি কোন টাকা চাইনি, আর ধান আমার বাড়িতে নেই।
এদিকে এই ঘটনায় পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সবজেল হোসেন জানান, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।