Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে পাইকগাছা-সাতক্ষীরার যোগাযোগের বাঁকা ব্রিজ

এখন সময়: শনিবার, ১০ মে , ২০২৫, ১২:৫২:৫৪ এম

 

প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা: খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার বাঁকা বাজারের সাথে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুরের সংযোগকারী অত্যন্ত ব্যস্ততম  ব্রিজটির দুই প্রান্তে পিলারের নিচের মাটি নদীর তীব্র স্রোতে ধসে যাওয়ায় ব্রীজটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, কেশবপুর-যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায় বিচ্ছিন্ন হতে বসেছে এই দুই উপজেলা যোগাযোগ ব্যবস্থা। কারণ কপোতাক্ষ নদী খনন প্রকল্প দুই এর আওতায় আশাশুনির বড়দল থেকে তালা উপজেলার শালিখা পর্যন্ত নতুন নতুন করে কপোতাক্ষ নদী খনন করা হয়। নদীর এই অংশটুকু সাতক্ষীরা এবং খুলনা জেলার অন্তর্ভুক্ত হলেও এটি কেশবপুর- যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে এবং কপোতাক্ষ নদী খনন প্রকল্পের আওতায় খনন করা হয়। গত ২০২৪ সালে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়। দরগাহপুর এবং বাঁকা বাজার পয়েন্টে সাতক্ষীরা এবং খুলনাকে সংযোগকারী ব্যস্ততম সড়ক থাকায় এলাকাবাসী নদীতে নতুন ব্রীজ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত জায়গাটি খনন করতে বাধা দেয়। উল্লেখ্য যে সেখানে ১৯৯২ সালের তৈরি করা একটি ব্রিজ ছিল। গত বর্ষায় অধিক প্লাবনের কারণে এলাকাবাসী বৃষ্টির পানি সরে যাওয়ার জন্য ব্রিজের নিচ দিয়ে ছোট একটি ক্যানেল তৈরি করে উভয় পাস কে সংযুক্ত করে দেয়। পরবর্তীতে এই ছোট ক্যানেলটি এখন গলার কাটা হয়ে গিয়েছে। ক্যানেলটি প্রবল স্রোতে পূর্ণাঙ্গ খরস্রোত নদীতে রূপান্তরিত হয়েছে ফলে এর পার্শ্ববর্তী অনেকগুলো ঘর, বসতভিটা ও দোকান নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। অবশিষ্ট রয়েছে ব্রীজটি। কিন্তু ব্রিজের অবস্থা এতই খারাপ যে, প্রবল স্রোতের কারণে নিচে মাটি ধ্বসে এমন অবস্থা হয়েছে যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে এই ব্রীজ। এ বিষয়ে অনেকবার পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোর জেলার অধীন কেশবপুর কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলো এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে এলাকাবাসীর ভিতর চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মোহাম্মদ রফিক নামে বাঁকা বাজারের একজন জানিয়েছে যে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা কোন প্রকার কর্ণপাত করেনি, সেই সাথে তিনি দাবি করেন দ্রুত নতুন ব্রীজ নির্মাণ করে নদী অবমুক্ত করার। তালহা মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, যদি কোন ভাবে এ ব্রিজটি তলিয়ে যায় তাহলে যে দুর্ভোগে সৃষ্টি হবে তার দায় যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে কারণ আমাদের প্রতিদিন এই ব্রীজ অতিক্রম করে খুলনা ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে যেতে হয়।

এ বিষয়ে যশোর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা খুব দ্রুত সেখানে জিও ব্যাগের ব্যবস্থা করব যাতে কোনভাবেই যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত না হয় এবং যেসকল জায়গায় ধস নেমেছে সে সকল স্থানে সংস্কারের ব্যবস্থা নিব।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)