নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি ড. এম আকবর আলী বলেছেন, শিশুরা বোঝে না দুর্বল একথা মানা যাবে না। তারা নিজেদের অধিকার আদায় করতে জানে। আইন মেনে সুপথে তারা যেন নিজেদের অধিকার আদায় করে, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সেই শিশুদের অবহেলা করা যাবে না। তাদের অবহেলা করলে কি হয়, সেটা বুঝেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। শিশুদের আন্দোলনের মুখে তাদের পতন ঘটেছে। আজ শিশুরা মাদক ও ইন্টারনেটের দিকে ঝুঁকছে, তার কারণ শিক্ষা ব্যবস্থা আনন্দদায়ক নয়, তাদের কাছে বোঝা। তাই শিশুদের আনন্দদায়ক নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে।
বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে রোববার বিকেলে পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘শিশুর কথা বলব আজ, শিশুর জন্য করবা কাজ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। শিশু অধিকার সুরক্ষায় ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, সেল ফোন- ইন্টারনেটের অপব্যবহার ও মাদকাসক্তি প্রতিরোধে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, দেশে সময় শিশু রাজনীতিতে ব্যবহার করা হয়েছে। টোকাই শিশুদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা শিশুদের সুশিক্ষা দিতে পারি না। নিরানন্দ শিক্ষা ব্যবস্থা বিকাশিতকে নিরুৎসাহিত প্রশ্নবিদ্ধ। তাই পিতামাতার উচিৎ শিশুদের হাতে মোবাইলের পরিবর্তে বই তুলে দেয়া । সেই সাথে কাজের ব্যস্ত কমিয়ে সন্তান দের সময় দিতে হবে।
মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি ইয়াসমিন গফুর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মিয়া লুৎফর রহমান চৌধুরী, যশোর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক হারুন অর রশিদ, পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনোতোষ কুমার নন্দী।
যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র আলভী আনাম, ছাত্রী রামিশা তানহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মামুন আল কবীর।
আলোচনা শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে পুশিল সুপার রওনক জাহানকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সেই সাথে পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র আলভী আনাম, ছাত্রী রামিশা তানহাকে সংগঠনের স্মরণিকা ও ডায়েরী দেয়া হয়।