মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি: মামা-ভাগ্নের পূর্ববিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৩০টি পরিবারের অর্ধশত বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের পাড়ুয়ারকুল ও রামকৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার পাড়ুয়ারকুল গ্রামের বাসিন্দা, স্থানীয় বাবুখালী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ইসমাইল মৃধা এবং সেকেন্দার মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারা দুইজন সম্পর্কে আপন মামা-ভাগ্নে। রোববার রাতে ইসমাইল গ্রুপের আতর আলী ও সেকেন্দার গ্রুপের রাসেলের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রুপ রাতে মিটিং করে সংঘর্ষের জানান দেয়। সোমবার ভোরে ইসমাইল গ্রুপের সমর্থকরা সেকেন্দারের বাড়ির সামনে মহরা দেয়। পরে সেকেন্দার মোল্যার সর্মথকরাও মুখোমুখি হলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন-ইকরামুল মোল্যা, মতিয়ার মোল্যা, শফিকুল মোল্যা, মুঞ্জুর মোল্যা, ডালু মিয়া, জয়নাল, জামাল, শহিদুল ইসলাম, রোকন, জাকির, হাসিবুল ইসলাম, ওহিদুল ও জাহাঙ্গীর। সংঘর্ষ চলাকালে ৩০টি পরিবারের অর্ধশত বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ ঘটনায় প্যানেল চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন এবং সেকেন্দার মোল্যা উভয়েই পরস্পরকে দায়ি করছেন।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’