চৌগাছায় জুয়েলারি ব্যবসায়ী অপহরণ ঘটনায় মামলা

চৌগাছা প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় জুয়েলারি ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্র নাথ দে (৬৫) অপহরণ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ধীরেন্দ্র নাথ দের ছেলে উত্তম কুমার দে বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখসহ  অজ্ঞাতদের আসামি করে চৌগাছা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় চৌগাছা থানা পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং করে ঝিকরগাছা উপজেলার বোধখানা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আবু সাইদ আল মামুন বাবু (৪২) ও যশোর সদরের ইছালি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ফিরোজ হোসেন (৪৫) কে আটক করেছেন। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ দিকে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে অভিযান অব্যহত রেখেছেন।

 সোমবার সন্ধ্যায় শহরের চৌগাছা-যশোর সড়কে সরকারি খাদ্যগুদাম এলাকা থেকে অপহরণ হন চৌগাছা শহরের উত্তম জুয়েলার্সের মালিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্র নাথ দে। খবর পেয়ে চৌগাছা থানা পুলিশ ও যশোরের ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান শুরু করেন। অপহরণের মাত্র ৩ ঘন্টার ব্যবধানে অপহৃত ধীরেন্দ্র নাথদে কে উদ্ধার করা হয়।

এ সময় চৌগাছা থানা পুলিশ ও যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) যৌথ অভিযানে নামে। পুলিশের তাড়া খেয়ে পালানোর সময় উপজেলার সলুয়াবিশ্বাসপাড়া এলাকা থেকে দুই অপহরণকারীকে আটক করা হয়।এ সময় অন্য দুই অপহরণকারী পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঝিকরগাছা এলাকা থেকে অপহৃত ধীরেন্দ্র নাথ দেকে উদ্ধার করেন। এ সময় অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রো বাস জব্দ করেন পুলিশ। 

মামলার বাদী উত্তম কুমারদে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় শহরের সরকারি ফুড গোডাউন এলাকা থেকে একটি মাইক্রো গাড়িতে করে বাবাকে অপহরণ করা হয়। পরে অপহরণকারীরা বাবার মোবাইল থেকে আমার মোবাইলে কল করে। তারা বলে তোর বাবাকে জীবিত পেতে হলে ২০ লাখ টাকা রেডি কর। ১০ মিনিট পরেই আবারো কল আসে। তারা বলে একটি ব্যাগে করে টাকাটা নিয়ে আয়। কোন পুলিশে খবর দিলে ফল ভালো হবে না। অপহরণকারীদের কথা অগ্রাহ্য করে আমি স্থানীয় একজন সাংবাদিকের সহযোগিতায় বিষয়টি চৌগাছা থানা পুলিশকে জানায়। এরপরই তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে চৌগাছা থানা পুলিশ ও যশোর ডিবি পুলিশ। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তারা মাত্র ৩ ঘন্টার মধ্যে বাবাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার আমি বাদী হয়ে চৌগাছা থানাঅজ্ঞাত আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছি।

চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন উদ্ধার ও আটকের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক আসামিদের মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যদের আটকে অভিযান অব্যহত রয়েছে। আশা করছি অতি দ্রুত সময়ে মূল আসামিদের আটক করতে পারবো।