প্রেসবিজ্ঞপ্তি : যশোর পৌরসভা ও সুইসকন্ট্যাক্টের মধ্যে সম্প্রীতি প্রকল্পের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়। জলবায়ু অভিবাসীদের পৌর পরিকল্পনা ও পরিষেবা কাঠামোর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে সহনশীল, ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই নগর ব্যবস্থা গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর কার্যালয়ে এ স্মারক সাক্ষরিত হয়। এর মাধ্যমে সুইসকন্ট্যাক্ট যশোর পৌরসভার সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং অন্তভূক্তিমূলক সেবা ব্যবস্থাপনা জোরদারে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি স্থানীয়ভাবে পরিচালিত, জলবায়ু-সংবেদনশীল নগর সুশাসনকে এগিয়ে নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তাছাড়া এর অধীনে জলবায়ু অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও তথ্য হালনাগাদ, মাইগ্রেশন অ্যাকশন প্ল্যান, লোকাল ক্লাইমেট অ্যাডাপ্টেশন কমিটি এবং মাল্টি স্টেকহোল্ডার ওয়ার্কিং গ্রুপ এর মতো অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়াগুলোর উন্নয়ন, মৌলিক সামাজিক সেবায় প্রবেশাধিকারের সুযোগ বৃদ্ধি, এবং কর্মশালা ও প্রযুক্তিগত বিনিময়ের মাধ্যমে পৌর কর্মকর্তা ও স্থানীয় অংশীজনদের সক্ষমতা উন্নয়ন সহজতর করা হবে।
এই উদ্যোগ যশোরকে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সম্প্রীতি প্রকল্পটি যৌথভাবে অর্থায়ন করছে সুইজারল্যান্ডের দূতাবাস, সরকার ও লোকালস ওয়াসার/ম্যাক্স ডিটিং এজি।
এতে বক্তৃতা করেন যশোর পৌরসভার প্রশাসক এবং জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক. রফিকুল হাসান ও সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন।
এ সময় তারা বলেন, এই সমঝোতা স্মারকটি যশোরকে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তোলার পথ উন্মুক্ত করতে চায় এবং সদেখাতে চায় কীভাবে স্থানীয়ভাবে পরিচালিত, তথ্যনির্ভর ও অংশীদারিত্বভিত্তিক উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে অন্তভুক্তিমূলক ও টেকসই নগর উন্নয়ন সম্ভব।