কেশবপুর প্রতিনিধি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো: শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে তাদের (ভারতের) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এ কারণে তারা আমাদের দেশের কয়েকটি (চ্যানেল) মিডিয়ার সম্প্রচার সে দেশে বন্ধ করেছে। কিন্তু আমরা তা করতে চাই না। আমরা অনেক দিন থেকে দেখছি তারা আমাদের নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নেই, বরং জোরে কথা বলে নাটক করে বিনোদন দেয়াটা যেন তাদের সাংবাদিকতা। সেক্ষেত্রে আমাদের সাংবাদিকতা অনেক দায়িত্বশীল প্রশংসনীয়। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের যে মিডিয়াগুলো বন্ধ করা হয়েছে তারা অনেক ভালো নিউজ করে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।
শফিকুল আলম বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় কারা জড়িত সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাকী জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি শনিবার বিকেলে উপজেলার পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা বলেন। এরআগে তিনি দুপুরে সরকারি সফরে সাগরদাঁড়ির মধুপল্লী পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মধুসূদন দত্তকে নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমরাতো ছোট বেলায় মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের অনেক কবিতা পড়েছি। সাগরদাঁড়ির কপোতাক্ষ নদ নিয়ে তাঁর অনেক আকুতি ছিলো। যা আমাদের মনে স্পর্শ করে। তিনি বাংলাতে বেশি দিন ছিলেন না। তিনি পূর্ববাংলায় মাত্র ৮ বছর ছিলেন।
এর আগে সাগরদাঁড়িতে পৌঁছানোর পরে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন। এরপর তিনি বিকালে উপজেলার পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে কেশবপুরের কৃতি সন্তান বাসসের সিনিয়র নিউজ এডিটর ও স্কুলের সভাপতি এসএম রাশিদুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব (সিনিয়র সচিব) শফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি যশোর জেলা প্রশাসক মো আজাহারুল ইসলাম, যশোর পুলিশ সুপার রওনক জাহান, জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন, ইন্সপেক্টর তদন্ত খাঁন শরীফুল ইসলামসহ প্রমুখ।
এর আগে ‘এসো মিলি প্রাণের টানে, সম্প্রীতির বাঁধনে’ স্লোগানে বিদ্যালয়টির প্রথম পুনর্মিলনীর শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলমসহ অতিথিরা অনুষ্ঠাস্থলে পৌঁছালে তাদেরকে লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদেরকে ফুল ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানায়।
পুনর্মিলনীকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উৎসবের আবহ বিরাজ করে। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এলাকায় আসেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রাক্তনীরা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। ছিলেন বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। এলাকার সাধারণ মানুষও এই উৎসবে সামিল হন।