ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদরে সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে মোশাররফ হোসেন (৪৮) নামের একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে নারীসহ অন্তত ১০ জন। আহতরা হলেন, শমসের মোল্যার ছেলে ধোলা (৬০), মতিয়ার (৫০), মিজানুর (৬৫), মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে আনিছুর (৩০), জাহাঙ্গিরের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৫০), আব্দুর রহিমের ছেলে জাহাঙ্গির (৪৫), আবুল কালামের ছেলে নাহিদ (৩৫)।
বুধবার সকালে সদর উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোশাররফ হোসেন ওই গ্রামের মৃত শমসের মোল্লার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দিঘিরপাড় গ্রামের বিএনপি নেতা আমজাদ বিশ্বাসের সাথে একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আলিম উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। গত রোববার রাতে আলিম উদ্দিনের লোকজন আমজাদ বিশ্বাসের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিলো। এরই জের ধরে বুধবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মোশাররফ হোসেন নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করে। আহতদের ঝিনাইদহ সদর, মাগুরা ও ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ জানান, ফুরসন্ধি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিকদার ও সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুল মালেক মিনা দুই গ্রুপের সামাজিক বিরোধ চলে আসছিল। যে মারা গেছেন সে আমাদের দলীয় একজন কর্মী। আসামীরা যেই হোক না কেনো তাদেরকে আইনের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন তিনি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সামাজিক আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মোশারফ হোসেন নামে একজন মারা গেছে। আরেক জনের অবস্থা আশংকাজনক। আমরা এলাকায় আছি, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।