সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় যাত্রীবাহী বাসের কন্ডাক্টর নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরো ১০ জন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে তিনটার দিকে সাতক্ষীরা -খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম শাওন (৩৫)। তার বাড়ি খুলনার সোনাডাঙ্গা আবাসিক প্রকল্প এলাকায়। তিনি বাবুল হোসেনের ছেলে বলে নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকির হোসেন টিটু।
আহত ১০ জনের মধ্যে তিনজন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ও একজন (ইজিবাইক চালক) সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ।
সদর হাসপাতালে দেবহাটা উপজেলার হাদিপুর গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিন এর ছেলে নজরুল ইসলাম (৭০), সদর উপজেলার বকচারা এলাকার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে ফারজানা (২১) ও বরিশাল জেলার কাউনিয়া গ্রামের মাহবুবের ছেলে নাঈম হোসেন (৩৫) ভর্তি রয়েছেন।
আর মারাত্মক আহত ইজিবাইক চালক বাবুর আলী সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন । তার বাড়ি সদর উপজেলার বাঁকাল এলাকায়।
অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন বলে সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
দুর্ঘটনায় কবলিত যাত্রীবাহী বাস ( বগুড়া -ব-১১-০০৩৮) এর তোয়া নামের এক যাত্রী জানান, তিনি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে খুলনা থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা হন। বাসটি বেপরোয়া গতিতে শুরু থেকেই সাতক্ষীরার দিকে চলছিলো মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরা শহরের অদূরে বিনেরপোতা নামক স্থানে যাত্রী বোঝাই একটি ইজি বাইকের পিছনে ধাক্কা দিয়ে ইজিবাইকসহ বাসটি রাস্তার ধারে উল্টে যায়। এতে বাস ও ইজিবাইকে থাকা বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। এসময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডাক্তার ত্রিদেব দেবনাথ বলেন, দুর্ঘটনায় যাত্রীবাহী বাসের কন্ডাক্টার শাওনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
আর আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে তিনজন সদরে ভর্তি রয়েছেন। বাবুরালী নামের ইজিবাইক চালকের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।