নিজস্ব প্রতিবেদক: মণিরামপুরের খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের গৃহবধূ সাথী আক্তার স্বরুপজান হত্যা মামলায় আটক সৎ ছেলে জিসান আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে। সংসারে পিতা-মাতার দ্বন্দ্বের জের ধরে জিসান তার সৎ মাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে। মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। জিসান খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের চালকল মালিক আব্দুর রশিদ মিন্টুর ছেলে।
জিসান জানিয়েছে, তার পিতা চাল কলের মালিক। দুই বছর আগে চাল কলের শ্রমিক সাথী আক্তার স্বরুপজানকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর আমাদের সংসারে চরম অশান্তি শুরু হয়। আমার মায়ের সাথে প্রায় পিতার ঝগড়া বিবাদ হতো। গত ২৬ এপ্রিল রাতে মায়ের সাথে তার ঝগড়া হয়। সকালে মা কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ফুফু বাড়িতে পাওয়া যায়। মাকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও বাড়ি ফিরে আসতে রাজি হয়নি। বিকেলে বোন ও ভাগ্নিকে নিয়ে মাকে আনতে গেলে তিনি ফিরে আসেনি। বাড়ি ফিরে সন্ধ্যায় রান্না ঘর থেকে শীল নিয়ে সৎ মাকে খঁজে তার ঘরে গিয়ে দেখি ঘুমিয়ে আছে। এ অবস্থায় আমি শীল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করি। এরমধ্যে ধস্তাধস্তিতে আমরা নিচেয় পড়ে যাই। এ সময় খাটের নিচেয় থাকা চাইনিজ কুড়াল নিয়ে সৎ মায়ের গলায় কয়েকটি কোপ দিয়ে রুমের লাইট বন্ধ করে পালিয়ে যাই। পরে জিসান শুনেছে তার সৎ মা মারা গেছে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, সাথী আক্তার স্বরুপজান হত্যার ঘটনায় স্বামী-সতীন ও সতীনের ছেলের বিরুদ্ধে নিহতের ভাই কাজিয়াড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার থানা পুলিশ আব্দুর রশিদ ও তার ছেলে জিসানকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। জিসান আদালতে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ওই জবানবন্দি দিয়েছে। বিচারক আটক দুইজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।