নিজস্ব প্রতিবেদক: সারিবদ্ধ আমগাছ, থোকায় থোকায় ঝুলছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি মিয়াজাকি আম। জাপানি এই আমকে বাংলাদেশে বলা হয় ‘সূর্যডিম’ আম। সেই আমবাগানের দুই পাশে রয়েছে মাছের ঘের। ঘেরের পাশে দেশি-বিদেশি প্রজাতির গরুর খামার। যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের ডুমুরতলা গ্রামে সরখোলা-মশিয়াহাটী সড়কের পাশে দারুল আসাদ খামারবাড়িতে এমনই এক আমবাগান করেছেন খামারের মালিক আসাদুর রহমান। আসাদুর রহমান উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, জাপানের বিখ্যাত মিয়াজাকি (সূর্যডিম) আম অন্যান্য আমের চেয়ে ১৫ শতাংশ স্বাদ-গন্ধ ও মিষ্টতা বেশি। রঙটাও ব্যতিক্রম। এসব বিশেষত্বের কারণে বিরল প্রজাতির মিয়াজাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম। একটি আমের ওজন এক কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। জায়গার নামানুসারে এর নাম রাখা হয় মিয়াজাকি। পৃথিবীতে বিখ্যাত হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ এই আমের মূল্য। কারণ দামের বিচারে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান আম এটি। বুধবার সকালে সরেজমিনে দারুল আসাদ খামারবাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, দুইটি মাছের ঘেরের আইলে মাঝে সারিবদ্ধভাবে মিয়াজাকি আমগাছ লাগানো রয়েছে। গাছগুলো তেমন বড় না হলেও অসংখ্য গাছে থোকায় থোকায় রঙিন আম ঝুলছে।
এ প্রসঙ্গে খামারের মালিক আসাদুর রহমান বলেন, পত্রপত্রিকার খবর দেখে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমগাছের চারা বাণিজ্যিকভাবে রোপণের সিদ্ধান্ত নেই। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ভারত থেকে ৬৫টি চারাগাছ আমদানি করা হয়। একটি চারাগাছ আনতে খরচ হয় চার হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে ২৩টি গাছে আম ধরেছে। বাকি গাছগুলোতেও আম ধরতে শুরু করেছে। চলতি মৌসুমে এক হাজার টাকা কেজি দরে অন্তত পাঁচ লাখ টাকার আম বিক্রির আশা রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, যশোর জেলার মধ্যে এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে মিয়াজাকি আমের চাষ শুরু করেছেন খামারি আসাদুর রহমান। আমি নিজে তাঁর খামারে গিয়েছি। আমবাগান পরিদর্শন করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। আশাকরি তিনি সফল হবেন। এ ধরণের উদ্যোক্তাদের জন্য কারিগরি পরামর্শসহ সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে কৃষি অফিস।