Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

যশোরে এবার জমেনি বৈশাখী পোশাকের বাজার

এখন সময়: রবিবার, ১১ মে , ২০২৫, ০৮:১৫:১৭ এম

 

মারুফ কবীর: বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ হলো শাড়ি ও পাঞ্জাবী। আবহমান কাল থেকে সার্বজনীনভাবে পালিত হয়ে আসছে পহেলা বৈশাখ। বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম এ দিনটি উদযাপন উপলক্ষে নানা আয়োজন থাকলেও পোশাক বিক্রি না হওয়ায় যশোরের ব্যবসায়ীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৈশাখের পোশাক গুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গরমের কথা মাথায় রেখে সুতির কাপড় ব্যবহার করা হয়। বৈশাখের পোশাক মানেই যেন সাদা-লাল রঙের মিশ্রণ। আজকাল অবশ্য এ দুটো রঙের সঙ্গে কমলা, হলুদ, নীল ও অন্যান্য রঙও ব্যবহার করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সরেজমিনে যশোরের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঈদের কেনাকাটা আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মধ্যে জমে ওঠেনি এ বছর পহেলা বৈশাখের বেচাকেনা। ঈদের পোশাক কিনে মানুষের হাতে টাকা-পয়সার টান আছে, এবার পণ্যের দামও বেশি। এসব কারণে বৈশাখের বাজার তেমন জমেনি। ব্যবসায়ীরা বলেন, কাছাকাছি সময়ের মধ্যে বড় দুটি উৎসব হওয়ায় জমেনি পহেলা বৈশাখের বিক্রি। দুটি বড় উৎসব হওয়ায় ক্রেতাসাধারণ কেনাকাটায় কিছুটা সতর্ক ও সাশ্রয়ী হয়েছেন।  রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী নেতা বলেন, সারা বছরের মোট বিক্রির ৫০ শতাংশ হয় রোজার ঈদে। ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হয় পহেলা বৈশাখে। তবে এবার দুই উৎসব কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় পহেলা বৈশাখের বেচাকেনা তুলনামূলক কম। শাড়ি বিক্রেতা পাঁড় আঁচলের প্রোপাইটর মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তা বলেন, পহেলা বৈশাখকে ঘিরে আগের মতো উচ্ছাস নেয়।  এ কারণে কয়েক বছর ধরে বৈশাখের দিনে পরার জন্য শাড়ি তেমন বিক্রি হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, বৈশাখকে ঘিরে যশোরের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এসব অনুষ্ঠানের জন্য অল্পসংখ্যক শাড়ি ও পাঞ্জাবি বিক্রি হয়।  জেলা পরিষদ মার্কেটের পাঞ্জাবি কর্ণারের বিক্রয় কর্মী আরমান বলেন , ঈদে পাঞ্জাবি বিক্রি হয়েছে আশাঅনুরুপ। আলাদা করে বৈশাখের জন্য তেমনটা পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে না এবছর। যশোর শাড়ি কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তন্ময় সাহা বলেন, আলাদা করে পহেলা বৈশাখে শাড়ি বিক্রি তেমন হচ্ছে না। ঈদ ও পহেলা বৈশাখ দুই উৎসবেই পরা যাবে এরকম শাড়ি ঈদের সময় ক্রেতারা কিনেছের বলে জানান এ নেতা।  এক তথ্য মতে জানা যায়, ২০১৬ সাল থেকে সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক ও সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত ব্যক্তিরা বৈশাখী ভাতা পাচ্ছেন। বেসরকারি কিছু ব্যাংকও এই ভাতা দিচ্ছে। কিন্তু এবার কয়েক দিনের ব্যবধানে ঈদ থাকার কারণে আলাদাভাবে বৈশাখের বেচাকেনা কম বলে জানান ব্যবসায়ীরা। যশোর কাপুড়িয়াপট্টি ও এইচ এম এম রোড দোকান মালিক সমিতির নেতা মান্না দে লিটু বলেন, অল্প কিছু পোশাকের ব্র্যান্ড ছাড়া পহেলা বৈশাখকেন্দ্রিক আলাদা নকশার পোশাক আসেনি এবার। বিশেষ করে সাদা কাপড়ের ওপর লাল নকশার পোশাক খুব কম দেখা গেছে। অধিকাংশ পোশাকের নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যা ঈদ ও বৈশাখ উভয় উৎসবে পরা যায়। সার্বিকভাবে ঈদের পোশাকই কিনেছেন বেশির ভাগ ক্রেতা। ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটা বেশি করছেন। আলাদা করে পহেলা বৈশাখের বেচাকেনা হচ্ছে না।  এদিকে,পহেলা বৈশাখে মার্কেটগুলোয় পোশাকের নানান ছাড় দেয়। তবে এবার সেরকম উল্লেখযোগ্য কোনো ছাড়ও চোখে পডেনি।

 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)