Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒সাংবাদিক শিশুপুত্রকে বাঁচাতে সহযোগিতা কামনা

আব্বু আমি কবে সুস্থ হবো ?

এখন সময়: রবিবার, ১১ মে , ২০২৫, ১০:৪৫:২৫ এম

আবু বকর সিদ্দিক মন্টু, চৌগাছা: প্রেসক্লাব চৌগাছার সদস্য ও যশোর থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি কবিরুল ইসলামের ছেলে সাদিন (১০) জটিল রোগে আক্তান্ত। সাদিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন স্বাভাবিক হতে মুত্রথলি ও স্পিøন্টার স্থাপন করতে হবে এটি খুব ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং আনুমানিক ব্যয় ৩০ লাখ টাকা। 

বর্তমানে সে ঢাকা ন্যাশনাল কিডনি ইন্সটিটিউটে ভর্তি রয়েছে। সন্তানকে নিয়ে দরিদ্র সাংবাদিক পরিবার চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন, এমতাবস্থায় সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন।

উপজেলার দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক কবিরুল ইসলাম ও স্ত্রী ফজিলানুন্নেছার সন্তান হচ্ছে সাদিন (১০)। বর্তমানে সাদিন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। জন্ম থেকেই তার ইউরোনারি এক্সট্রোফি ব্লাডার (স্বাভাবিক মূত্রথলী না হওয়া) রোগ ধরা পড়ে।

২০১৬ সালে সাদিনকে খুলনা মেডিকেল ও ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেয়া হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ উন্নত চিকিৎসার জন্য অপারেশনের পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে এলাকার সন্তান ঢাকা মেডিকেলের অধ্যাপক ডাঃ মিজানুর রহমানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পরপর দুই বার অপোরেশন করা হয়। সে সময় মোটা অংকের টাকা ব্যয় হয়। সাদিনের আরো দুটি অপারেশন করতে হবে। যার ব্যয় হবে প্রায় ৩০/৪০ লাখ টাকা। টাকার অভাবেই তার অপারেশন সম্ভব হয়নি। ফলে ধীরেধীরে শিশু সাদিনের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

দুরন্ত ও মেধাবী সাদিন ডায়াপার পরিধান করে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে। স্বাভাবিক মানুষের মত তার প্রসব হয় না। সে কারণে শিশুতোষ মন সব সময় বিষন্ন থাকে। বারবার বাবার কাছে প্রশ্ন করে আব্বু আমি কি সুস্থ হবো না? কবে আমাকে অপারেশন করাবে। কবে আমি সুস্থ হব। সন্তানের এমন প্রশ্নের উত্তর জানেনা এই পরিবার। শুধু চোখের পানি ঝরিয়ে তাদের দিন কাটে।

পরবর্তীতে ২০২৩ সালে ডাঃ মিজানুর রহমানের সহযোগিতায় সাদিনের আরো একটি অপারেশন করা হয়। এরপর মুত্রথলি ও স্পিøন্টার প্রতিস্থাপনে অপারেশন করার কথা বলা হয়। কিন্তু টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি বলে অপারেশন সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় শিশু সাদিন আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে।

ডাক্তারের পরামর্শে ঢাকা ন্যাশনাল কিডনি ইন্সটিটিউটের ৬ তলায় শিশু বিভাগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর বেডে সাদিনকে পুনরায় ভর্তি করা হয়েছে।

কবিরুল ইসলাম জানান, সন্তানের অপারেশনের জন্য বারবার হোঁচট খাচ্ছি। দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সন্তানকে ভর্তি করে আবারও কি বাড়ি ফিরে যেতে হয় সেই চিন্তায় আছি। তবে এ পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে অপারেশনের সার্বিক সহযোগিতা করেছেন ডাঃ মিজানুর রহমান। তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ডাক্তারের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, মূত্রথলি ও স্পিøন্টার স্থাপনে ৩০ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। সরকারিভাবে সহযোগিতা ছাড়া এই টাকা জোগাড় করা সম্ভব না।

দেড় দশক গণমাধ্যমে কাজ করে দেশ ও মানুষের কথা লিখেছেন সাধিনের পিতা কবিরুল ইসলাম। শেষমেষ তার আশা ভরসার ঠিকানা গণমাধ্যম। আর সেই গণমাধ্যমেই তিনি সন্তানের চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে সহযোগিতা কামনা করেছেন। যোগাযোগ-০১৯২৭-১৭২৫৩৫।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)