কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধি : হরিঢালী ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তদন্তপূর্বক গাছ কাটার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গেলে গাছ কাটার সত্যতা মিলেছে।
স্থানীয়রা জানান, পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের ৭৫ নম্বর দক্ষিণ হরিঢালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারপাশের সীমানা বরাবর ৫০ টির মত বড় বড় মেহগনি গাছ রয়েছে। প্রায় ৪০ বছর আগে স্কুল কর্তৃপক্ষ এই গাছগুলো রোপন করে। বর্তমানে মূল্যবান এ গাছগুলো স্কুল সীমানা জুড়ে শোভাবর্ধন করছে। গত ২৭ নভেম্বর স্কুল চলাকালীন প্রায় ৫০ হাজার টাকার মূল্যের একটি মেহেগনি গাছ কে বা কারা কেটে নিয়ে যায়। পরের দিন আরেকটা গাছ কাটতে শুরু করলে এলাকাবাসীর বাঁধার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
স্কুলের পাশের বাড়ির আফিল সরদার জানান, স্কুলের পিছনে একটি মেহগনি গাছ বেপারিরা কেটে নিয়ে গেছে। এলাকার মান্নান সরদার জানান, হরিদাশকাটি গ্রামের জনৈক রুহুল আমিন বেপারি মেহগনি গাছ কিনেছেন। গাছটির বাজার মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তিনি আরো জানান, ঘটনার পরদিন আবারো স্কুলের পিছনে আর একটি বড় মেহগনি গাছ কাটা শুরু করলে এলাকাবাসীর বাঁধার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল সাত্তার মোল্লা জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কারসাজিতে এই গাছ বিক্রি হয়েছে। তিনি আরো জানান, ম্যানেজিং কমিটিকে পাশ কাটিয়ে কৌশলে স্কুলের দাতা সদস্য বিষে দে ও এলাকার জনৈক সুমঙ্গল কে দিয়ে প্রধান শিক্ষক এ গাছ বিক্রি করেছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাধারানী দাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কে বা কারা রাতের আঁধারে গাছ কেটে নিয়ে গেছে। স্কুল চলাকালীন সময়ে গাছ কাটা হয়েছে আবার পরের দিন স্কুল চলাকালীন সময়ে আরেকটি গাছ কাটতে আসার ঘটনা জানতে চাইলে তিনি সদুত্তোর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অমর ঘোষের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে গেলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এলাকাবাসী জানায়, এই ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে স্কুলের প্রায় বিশ লাখ টাকা মূল্যের অবশিষ্ট গাছগুলো এভাবে হারিয়ে যাবে।