আঃ মালেক রেজা, শরণখোলা (বাগেরহাট) : পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে দ্বিতীয় পর্যায়ের বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়েছে। ৫ নভেম্বর বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন্নাহার এমপি আনুষ্ঠানিকভাবে এ গণনার কাজ উদ্বোধন করেন। এর আগে প্রথম ধাপে বাঘ গণনার কাজ সুন্দরবনে পশ্চিম বিভাগে শেষ হয়েছে। আগামী জুলাই মাসে বনবিভাগ বাঘ গণনার হিসাব প্রকাশ করবে বলে জানা গেছে।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মাহবুব হাসান ও চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব বলেন, সুন্দরবনের পশ্চিম বনবিভাগে বাঘ গণনার কার্যক্রম গত জুন মাসে শেষ হয়েছে। ৫ নভেম্বর পূর্ব বনবিভাগ চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় দ্বিতীয় ধাপে বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তারা আরও জানান চাঁদপাই রেঞ্জের হাড়বাড়িয়া এলাকায় ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গনণার কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন্নাহার এমপি। এ লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে ৩০০ ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানা গেছে। গত ৫ বছর ধরে ১ জানুয়ারী থেকে সুন্দরবনে বাঘ গণণার কাজ শুরু হয়। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ৩ হাজার ৮শ’ ৪০টি বাঘ রয়েছে বলে জানা গেছে। ২০১৮ সালের বাঘ গণণায় সুন্দরবনে ১১৪টি বাঘের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে অনেকের ধারনা বিশ্বের অন্যতম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার একটি চক্র সু-কৌশলে হত্যা করছে বলে জানা গেছে। বনবিভাগের রক্ষীরা, জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালরা বলেন, পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি, কটকা, কঁচিখালি এলাকায় ইদানিং বেশ কিছু বাঘকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। তাছাড়া গত ২/৩ মাস আগে সুন্দরবনগামী পর্যটকরা রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে সাঁতরিয়ে নদী পার হতে দেখেছেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সুন্দরবন বিভাগ খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক(সিএফ) মিহির কুমার দে বলেন, সুন্দরবনের খুলনা ও সাতক্ষীরার পশ্চিম সুন্দরবনে ৪৬৮ টি ক্যামেরা বসিয়ে ৬ মাস ধরে গণণা করে বাঘ গণনার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে। ৫ নভেম্বর পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে ৩০০ ক্যামেরা বসিয়ে বাঘ গণনার কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী জুলাই মাস নাগাদ এ গণণার কাজের ফলাফল পাওয়া যাবে।