এম আলমগীর, ঝিকরগাছা: যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির বলেছেন, ৬দফা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের একটি ঐতিহাসিক সৃষ্টি। যা স্বাধীনতা সংগ্রামে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছিল। আইয়ুব খানের নির্যাতন-নিপীড়নের পটভূমিতে যখন ছয় দফা পেশ করা হয়, অতি দ্রুত এর প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধি পেতে থাকে। আমার মনে হয়, পৃথিবীতে এ এক বিরল ঘটনা। কোনো দাবির প্রতি এত দ্রুত জনসমর্থন পাওয়ার ইতিহাস আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আইয়ুব খানের নির্যাতন-নিপীড়নের পটভূমিতে যখন ছয় দফা পেশ করা হয়, অতি দ্রুত এর প্রতি জনসমর্থন বৃদ্ধি পেতে থাকে। আমার মনে হয়, পৃথিবীতে এ এক বিরল ঘটনা। কোনো দাবির প্রতি এত দ্রুত জনসমর্থন পাওয়ার ইতিহাস আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যার পরে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক এই সংসদ সদস্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সমগ্র পূর্ব বাংলা সফর শুরু করেন। তিনি যে জেলায় জনসভা করতেন, সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হতো, গ্রেপ্তার করা হতো। জামিন পেয়ে তিনি আবার অন্য জেলায় সভা করতেন। এভাবে পরপর তিনি আটবার গ্রেপ্তার হন মাত্র দুই মাসের মধ্যে। এরপর ১৯৬৬ সালের ৮ মে নারায়ণগঞ্জে জনসভা শেষে ঢাকায় ফিরে আসার পর ধানমন্ডির বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ৯ মে তাঁকে কারাগারে প্রেরণ করে। তৎকালীন সরকার একের পর এক মামলা দিতে থাকে। তবুও থেমে থাকেনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি দেশতে স্বাধীন করার জন্য পূর্ব বাংলার মানুষকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন।
ঝিকরগাছা থানার মোড় পারবাজারে উপজেলা আওয়ামী সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ফিল্ম কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বাবু অশোক দত্ত, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অবসরপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সাবেক ছাত্রনেতা ইকবাল হোসেন, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ইকবাল আহমদ রবি ও শাহানা আক্তার, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম খোকন, আব্দুর রাজ্জাক নিটল, আক্তারুজ্জামান আক্তার, শাহ আলম মিন্টু, মুনিরুল আলম মিশর, সাবেক কাউন্সিলর বাবু নিমাই ঘোষ, রফিকুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিম আরা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রওশনারা খাতুন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ইলিয়াস মাহমুদ, যুবলীগ নেতা আলমগীর বাসার, মিঠু আহমেদ, উপজেলা তরুণ লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম শিপলু, সাধারণ সম্পাদক
বিপ্লব ধর প্রমূখ।