নিজস্ব প্রতিবেদক: ধর্ষণ চেষ্টা ও পর্ণোগ্রাফি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করায় ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে মলমুত্র নিক্ষেপ ও খুন জখমের হুমকি দেয়া হচ্ছে। যশোরের অভয়নগরের মহাকাল আলীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে ওই নারী তার পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নারী এনজিও কর্মী মঙ্গলবার অভয়নগর থানায় একটি জিডি করেছেন।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তিনি একটি এনজিওতে কাজ করেন। পরিবার নিয়ে অভয়নগরের মহাকাল আলীপুর গ্রামের বসবাস করেন। একই গ্রামের কবির, আলামিন, হামিদুর ওই নারীর প্রতিবেশী। তার স্বামী চাকরির কারণে বাইরে থাকায় তারা তাকে প্রায় উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিত। ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর ওই নারী অসুস্থ থাকায় অফিসে না গিয়ে বাড়িতে ছিলেন। দুপুরে প্রেমবাগ ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ তপু গাজী কিছু কাগজপত্র নিয়ে তার বাড়িতে আসেন স্বাক্ষর করতে। এসময় আসামি হামিদুর, আলামিন কবির খান, মোশারফ, আতিকুর রহমানসহ অপরিচিত কয়েকজন তার বাড়িতে আসেন। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে গ্রামপুলিশ তপুকে পাশের ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ চেষ্টা ও মারপিট করে তা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহণ না করায় তিনি চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালতে আদেশে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সাইবার ক্রাইম ইভেস্টিগেশন সেল। এ মামলার তদন্ত শেষে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের এসআই সুকল্যাণ বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ওই ৫ জনকে অভিযুক্ত করে ধর্ষণ চেষ্টা ও পর্ণোগ্রাফি আইনে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনের আসামিদের অভিযুক্ত করায় তারা চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছে উঠেছে। মামলা তুলে না নিলে ভুক্তোভোগী নারীসহ তার পরিবারের সদস্যদের খুন-জখম করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আসামিদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা গত ৩ থেকে ৫ জুন পর্যন্ত পলিথিনে মলমুত্র ভরে ঘরের ভিতর নিক্ষেপ করেছে। রাত গভীর হলে বাড়ির ভিতর নিক্ষেপ করা হচ্ছে ইট। নিরুপায় হয়ে তিনি ৯৯৯ অভিযোগ দিলে পুলিশ তার বাড়িতে এসে ঘটনার সত্যতা পায়। আসামিদের ধরনের কর্মকাণ্ডে নারী এনজিও কর্মী তার পরিবারের সদ্যদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি জিডিতে তার পরিবার ও নিজের নিরাপত্তায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।