নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে রিকসা চালককে মারপিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় আইনজীবী আরতী রাণী ঘোষকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হেলালউজ্জামান।
এদিকে আইনজীবী আরতী রাণী ঘোষের সাময়িক স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে আইনজীবী সমিতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইসহক।
গত ৭ মে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে রিকসা চালককে মারপিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হন আইনজীবী সমিতির সদস্য আরতী রানী ঘোষ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কোট গাউন পরিহিত আইনজীবী আরতী রাণী ঘোষ রিকসা চালকের কলার ধরে মুখে চড় থাপ্পড় মারছেন। রিকসা চালক জোড় হাত করে বারবার ক্ষমা চাইলেও তাকে মারতে দেখা যায়। পরে পথচারীরা আইনজীবীকে নিবৃত করতে সক্ষম হন। এ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। অভিযুুক্ত আইনজীবী শহরের অম্বিকা বসুলেনের নীলরতন ঘোষের মেয়ে। ভুক্তভোগী রিকশাচালক সাইফুল ইসলাম যশোর সদরের আব্দুলপুর সাজিয়ালি গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় রিকসা চালক সাইফুল ইসলাম গত ১৮ মে আইনজীবী আরতী রাণী ঘোষের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি জিডি করেন। আদালত থেকে জিডি তদন্তের অনুমতি পাওয়ার পর পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হেলালুজ্জামান তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে ঘটনার মারপিট ও মানহানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তিনি আদালতে গত ২১ মে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। জবাবে তিনি নিজেকে শহীদ পরিবারের সন্তান দাবি করে এধরণের কাজ আর কখনো করবেন না এবং ঘটনাটি অনাকাক্সিক্ষত ও ভুল স্বীকার করে সমিতির কাছে তিনি ক্ষমা চান। সোমবার (৫জুন) সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সদস্য আরতী রাণী ঘোষের জবারের উপর আলোচনা হয়। শেষে সর্বসম্মতিক্রমে আরতী রাণী ঘোষের সাময়িক স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।