কথিত কবিরাজের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ফকিরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাটে কথিত কবিরাজের কাছে গিয়ে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চিকিৎসা দেয়ার নামে অচেতন করে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার কায়েম আলী কাইয়ুম নামে কথিত কবিরাজের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা ফকিরহাট মডেল থানায় মামলা করেছেন। নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বাদশা বুলবুল জানান, গত সোমবার (২৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে কথিত কবিরাজের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থী তার হাতের আঁচিল তুলতে তার এক বান্ধবীকে সাথে নিয়ে কবিরাজ কায়েম আলীর বাড়িতে যায়। কথিত কবিরাজ আঁচিল ওঠানোর সময় রোগীর সাথে অন্য কেউ থাকা যাবেনা বলে তার বান্ধবীকে বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলে। পরে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয় এবং মেয়েটিকে একটা বাতাসা খেতে দেয়। এরপর মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে বিষয়টি কাউকে না বলতে বিভিন্ন হুমকি দেয়া হয়। ঘটনাটি জানাজানির পরে কথিত কবিরাজ গা ঢাকা দিয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, তারা ফকিরহাট উপজেলার একটি গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে। মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। তারা এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা না হওয়ায় ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল থাকায় ভয়ে বিষয়টি প্রথমে কাউকে জানায়নি।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২ জুন) ভুক্তভোগী মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত কথিত কবিরাজ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
