মহম্মদপুর ইউপি নির্বাচনী প্রচারে হামলায় আহত ১০, মোটরসাইকেলে আগুন

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৬:২১:১৫ পিএম

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়ন ও বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদ  নির্বাচনে পৃথক ঘটনায় আওয়ামী লীগের  চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় সদস্য প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর দশজন সমর্থক আহত হয়েছেন। এসময় বিনোদপুরে অগ্নিসংযোগে একটি মোটরসাইকেল ভষ্মিভূত হয়েছে। বুধবার   বিকেলে  ও রাতে হামলার দুটি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আহত ৬ জন ও তাদের স্বজনেরা  জানান, বুধবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে দীঘা ইউনিয়নের নাগড়া বাজারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী রেজা (টেলিফোন) ১০-১৫ জন সমর্থক দাড়িয়ে ছিলেন। এ সময় আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী খোকন মিয়ার (নৌকা) সমর্থকদের মিছিল অতিক্রম করছিল। মিছিল থেকে ১০-১৫ লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলা আলী রেজার সমর্থক বাকি মোল্যা (৫৩), রবিউল ইসলাম ডাবলু (৪৪),মনিরুল ইসলাম মোল্যা (৩৫) ও খন্দকার আলী আসগরসহ (৪০) ছয়জন আহত হন। এদের চারজনকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে (তালা মার্কা) প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। অন্যদিকে,  বুধবার বিকেলে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘুল্লিয়া বাজার এলাকায় আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শিকদার মিজানুর রহমানের (নৌকা) সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম পিকুলের (ঘোড়া মার্কা) চারজন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে রেজাউল ইসলাম ফকির ওরফে রফিকুল (২৮) ও সেলিম মোল্যাকে (৩০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা এসময় রেজাউল ইসলাম ফকির ওরফে রফিকুলের একটি টিভিএস এ্যাপাচি আরটিআর মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ পুড়ে যাওয়া  মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে আসে।
 মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান বলেন, বিনোদপুর ও দীঘা  ইউনিয়ন পরিষদ  নির্বাচনের প্রচারের সময় কয়েকজনের উপর হামলা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি।  অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিনোদপুরের  ইউনিয়নের আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শিকদার মিজানুর রহমান ও দীঘা ইউনিয়নের আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী খোকন মিয়া  ওই হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁরা বলেন, তাঁদের হেয় করার জন্য এ অভিযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে। এ ঘটনায় পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে।
২৮ নভেম্বর মহম্মদপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট নেয়া হবে। এতে  আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়াও বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র ও বিএনপির একাধিক প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।