নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেভিল হান্ট ফেজ-২ অভিযানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে যশোরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- যশোর শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলার মৃত শামছুর রহমানের ছেলে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল সিদ্দিক পলাশ, অভয়নগরের জিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত রঞ্জন কুমার পালের ছেলে কৃষ্ণ কুমার পাল, বাঘারপাড়ার ভাদ্রডাঙ্গা গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে অহিদুল ইসলাম, ঝিকরগাছার আটুলিয়া গ্রামের মৃত আইয়ুব হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন ঠান্ডু, অমৃত বাজার গ্রামের অহেদ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন, শার্শার যাদবপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে হেদায়েদ হোসেন হামিদ, কেশবপুরের ঘোপদিহি গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আজিবার মোড়ল, চৌগাছার ইন্দ্রপুর গ্রামের নবিছউদ্দীনের ছেলে শাহিন হোসেন, গয়ড়া গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে বিল্লা হোসেন ও আফরা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে তেহরান হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদরের ফতেপুর বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ককটেল হামলা করে দখল করে নেয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পলাশকে মঙ্গলবার দুপুরে তার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। বিকেলে আদালতে মাধ্যমে আটক পলাশকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চৌগাছার নারায়নপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজারে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল করে। মিছিলে তারা নির্বাচন বানচাল, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচুত্তসহ বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বাজারের লোকজন মিছিলের বিয়ষটি জানতে পেরে এগিয়ে আসলে মিছিলকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২১ ডিসেম্বর চৌগাছা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই তিনজনকে সোমবার রাতে পুলিশ আটক করে। মঙ্গলবার আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে পুলিশ কারাগারে পাঠিয়েছে।
২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর বিকেলে কেশবপুরের কলাগাছি বাজারে জিএম মহিউদ্দিনের অফিস ও জনৈক বুলবুলের ফার্মেসি ভাঙচুর করে। একই সময় হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় হামলা, ভাঙচুর মারপিট ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কেশবপুর থানায় একটি মামলা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আজিবর মোড়লকে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার আটক আজিবর মোড়লকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
এছাড়া অপর আসামিদের নাশকতার পরিকল্পনা ও বিস্ফোরক এবং সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগসহ আসন্ন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। সোমবার রাতে আটক করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।