কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পরকীয়াকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণনগর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ইয়ার আলীর (৪৮) ছোড়া গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন হালিমা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূ। এ সময় গুলিতে জখম হয়েছে ইয়ার আলীর ছেলে হৃদয় তরফদার (২১)।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন এলাকায়। গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুন কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ মোসলেম আলীর স্ত্রী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, সন্ত্রাসী ইয়ার আলীর সাথে সোতা গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তা এক সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীর দীর্ঘদিন যাবত পরকিয়া চলছে। এ ঘটনা জানতে পেরে সোমবার দুপুরে ইয়ার আলীর স্ত্রী তাহমিনা খাতুন (৪২) ও ছেলে হৃদয় ওই নারীর বাড়িতে ইয়ার আলীকে খুঁজতে যায়। সেখানে যাওয়ায় ইয়ার আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রী ও ছেলে সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। হট্টগোল শুনে হালিমা খাতুন সেখানে গেলে ইয়ার আলীর ছোড়া গুলি চোয়ালে লাগায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় আহত হয় ইয়ার আলীর ছেলে হৃদয়।
দিনদুপুরে গোলাগুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ইয়ার আলীর ভয়ে এলাকার কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পায় না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ হালিমা খাতুনের ছেলে সাইফুল্লাহ মনির বলেন, তার মাকে গুরুতর জখম অবস্থায় কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থকে তাকে খুলনায় নেয়ার কথা বলা হয়। তার মা হালিমা খাতুনকে খুলনায় নেয়া হচ্ছে বলে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানান তিনি।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসলাম খান বলেন, হালিমা খাতুন গালে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে কোনো গুলির খোসা বা আলামত পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।