মিরাজুল কবীর টিটো: যশোর সদর উপজেলার ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পাঠদান করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে দেশে ভূমিকম্পের পর যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে এ তালিকা তৈরি করা হয়। তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহিদুল ইসলাম।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তালিকা অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হচ্ছে- সেবা সংঘ ঘোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নতুন খয়েরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজেদূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আহসান নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাগডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সালতা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডুমদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আরিচপুর আনোয়ার হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেফায়েতনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাজিয়ালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শমসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহিদুল ইসলাম জানান, এসব বিদ্যালয় ভবন অনেক পুরাতন হয়ে গেছে। ভবনের পলেস্টার খসে দেয়ালে ফাটল ধরেছে। এ কারনে ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কোন বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হচ্ছে।
সেবাসংঘ ঘোপ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসা অভিভাবক শবনম বেগম বলেন- এ বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। স্কুলে সন্তানকে ক্লাস করতে পাঠিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। শহরের মধ্যে স্কুলের ভাঙাচুরা ভবন অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। মুন্নি আক্তার নামে আরেক অভিভাবক জানান- দেশে যে হারে ভূমিকম্প হচ্ছে, এ বিদ্যালয় ভবন যেকোন সময়ে ভেঙে পড়তে পারে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে ছেলেমেয়েদের স্কুলে ক্লাস করাতে পাঠাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি এ বিদালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হোক।
প্রধান শিক্ষক সাইদা ইয়াসমিন জানান- এ বিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৯৫৫ সালে। এভবনটি প্রতিষ্ঠাকালীন সময়। ভবনে প্রথম শ্রেণি, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ১৯৯ শিক্ষার্থীর ক্লাস নেয়া হয়। ভবন পুরাতন হওয়ায় পলেস্টার খসে পড়ছে। বৃষ্টি হলে পানি পড়ছে। ভবনের বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম জানান-সম্প্রতি দেশে ভূমিকম্প হওয়ার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি পাঠিয়েছিল। আমরা বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা পাঠিয়েছি।