নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান (২৫)-এর ওপর হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আসামিরা হলেন- আশ্রম রোড এলাকার যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন তুহিনের দুই ছেলে রাতিন ও রোহান, টিকি ক্লিনিক এলাকার মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে আল আমিন, কামাল হোসেন তুহিন ও তার ভাই দেলোয়ার হোসেন সুহিন, আশ্রম রোডের মইন উদ্দিন ও তার স্ত্রী সাথী টুনুর ছেলে জাফর ও পুলেরহাট এলাকার শেখ মাসুমের চেলে শেখ পিয়াস। মামলাটি করেছেন সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মিজান চৌধুরী। আসামিদের মধ্যে মইন, তার স্ত্রী ও পিয়াসকে আটক করা হয়েছে। তবে ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে প্রধান অভিযুক্ত রাতিনসহ তার সহযোগীরা। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থী আদর মোটরসাইকেল যোগে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আশ্রম রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাতিন, রোহানসহ আরও কয়েকজন আদরের মোটসাইকেল থামিয়ে মারপিট শুরু করে। সে সংবাদ পেয়ে সোহানুর রহমান সোহান সন্ধা ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। আদরকে মারপিটের কারণ জানতে চাইলে আসামিরা সোহানের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তুহিন সোহানের মাথায় অস্ত্র ঠেকায়। অন্য আসামিরা সোহানকে জাপটে ধরে অন্যদিকে রাতিন, রোহান একেরপর এক ছুরিকাঘাতে সোহানকে। এ সময় সোহানের মোবাইল ফোন ও কাছে থাকা ৪১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় আসামিরা। পরে আশপাশের লোকজন সোহানকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ হালদার জানান- এ মামলার তিন আসামিকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। উল্লেখ্য, ছাত্রদল নেতা সোহানের ওপর হামলার খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে যান বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। রাতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদল। তারা দ্রুত অপর আসামিদের আটকের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দেয় করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এর আগেও তুহিন,সুহিন, রাতিনদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।