নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের দখল হওয়া নদী পরির্দশন করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মকসুমুল হাকিম। বৃহস্পতিবার সকালে যশোর শহরতলীর পুলেরহাট এলাকায় মুক্তেশ্বরী নদী পরিদর্শনের মাধ্যমে পরিদর্শনের সূচনা করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, নদী রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই টিম নিয়ে পরিদর্শনে এসেছেন।
যশোরের মুক্তেশ্বরী, টেকা, ভৈরবসহ অসংখ্য নদী খাল দখল করে ব্যক্তি কাজে ব্যবহার করছে ভূমিদস্যুরা। এতে করে যশোর শহরসহ বিভিন্ন এলাকা সামান্য্য বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতার শিকার হয়। এমন প্রেক্ষাপটে নদী রক্ষার আন্দোলনে জড়িতদের আবেদন ও জেলা প্রশাসনের তথ্যের ভিত্তিতে মুক্তেশ্বরী ও টেকা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পরির্দশন করতে যশোরে অবস্থান করছেন নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান। এর আগে যশোর সার্কিট হাউসে তার কাছে স্মারকলিপি দেন মুক্তেশ্বরী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতৃবৃন্দ। তারা মুক্তেশ্বরী নদী ও নদীর খাল সমূহের দখলদার উচ্ছেদ, খনন এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এসময় সংগঠনের আহ্বায়ক অনিল বিশ্বাস, সদস্য সচিব রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, তসলিম উর রহমান, প্রকৌশলী আবু হাসানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কেশবপুর প্রতিনিধি জানান, দুপুরে জাতীয় নদী রক্ষা কিমশেনর চেয়ারম্যান মকসুমুল হাকিম চৌধুরী কেশবপুরে আপার-ভদ্রা নদীর অবৈধ দখল, দূষণ ও নাব্যতা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। তিনি কেশবপুর ও চুকনগর নদীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁর সাথে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সচিব মনিরুজ্জামান তালুকদার (সচিব), উপপরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল্লাহ আল জাকী, কেশবপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শরীফ নেওয়াজ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন শিকদার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকবৃন্দ। নদীর চর অঞ্চল দখল করে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান একটি বাজারসহ ৮৮ টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এবিষয়ে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় শেষে জানানো হবে বলে জানান।