Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণ সভা

নির্বাচনের আগে গণভোট নয় : মির্জা ফখরুল

এখন সময়: শুক্রবার, ৭ নভেম্বর , ২০২৫, ১২:০৪:০৫ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- আমরা অনেক সহ্য করেছি। বিএনপি রাজপথে ভেসে আসা কোন রাজনৈতিক দল নয়। এদেশের মানুষের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে আমরা মা, মাটি ও মানুষের কল্যানে রাজনীতি করি। ফলে আমাদের ফেলনা মনে করলে ভুল করবেন। ভালোয় ভালোয় নির্বাচন দিন। তা নাহলে নির্বাচন বানচালের কোন ষড়যন্ত্র করা হলে তার পরিনাম ভালো হবে না। দেশবাসীকে সাথে নিয়ে নির্বাচন বানচালের সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে বিএনপি প্রস্তুত আছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মস্ত্রী তরিকুল ইসলামের ৭ম মৃত্যু বার্ষিকীর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

যশোরের গণমানুষের নেতা সাবেক মন্ত্রী মরহুম তরিকুল ইসলামের ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এই স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, নির্বাচনের আগে কোন গণভোট নয়। এটা হলে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। নির্বাচনের দিনই হতে হবে গণভোট। তিনি ড. ইউনুস সরকারকে অবিলম্বে গণতন্ত্রের দিকে ফিরে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করার আহ্বান জানান। গণতন্ত্রকে আর হরণ করবেন না, জনগণের অধিকারকে নষ্ট করবেন না। বিএনপি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিশ্বাসী। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় এবং কিছু সংখ্যক রাজনৈতিকদল অসৎ উদ্দেশ্যে একটি গলযোগ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে জনগণ তাদেরকে ক্ষমা করবে না। প্রয়োজনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে পারে বলেও তিনি তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান প্রফেসর ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশের রাজনৈকিত অঙ্গন অস্থিতিশীল করার চেষ্টার পরিনাম ভালো হবে না। একটি দল দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে ঘোলা করার চেষ্টা করছে। আজ এই শোকাহত পরিবেশে অমরা আপনাদের বলতে চাই, এই সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তার পরিনাম হবে ভয়াবহ। এই সরকারকে বিএনপিসহ দেশের প্রগতিশীল ও স্বৈরাচার বিরোধী মুভমেন্ট করা সকল রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপক ভাবে সহায়তা প্রদান করে আসছি। তাই এই অন্তর্বর্তী সরকারকে বলবো, দ্রুত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে তার যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে। ব্যর্থতার দায় নিয়ে আপনাদের বিদায় হোক সেটা বিএনপি চায় না। কিন্তু যদি নির্বাচন নিয়ে কোন টালবাহানা করেন, তবে তার পরিনাম হবে ভয়াবহ। বিএনপি জানে কিভাবে নির্বাচন আদায় করতে হয়।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, প্রকৌশলী টি এস আইয়ুব, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কাজী রওনোকুল ইসলাম শ্রাবন, সাবিরা সুলতানা মুন্নি, আবুল হোসেন আজাদ, অমলেন্দু দাস অপু, হাসান জহির, তানিয়া রহমান, জহুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল মান্নান, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান প্রমুখ।

স্মরণ সভার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ যশোর জেলার সকল থানা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন স্তরের পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজীবন সংগ্রামী কিংবদন্তিতুল্য নেতা মরহুম তরিকুল ইসলাম আজন্ম মা, মাটি মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। আজীবন তিনি যশোরের উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। কখনো কোন অন্যায় অনিয়মের সাথে আপোষ করেননি। শত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেও তিনি আদর্শের প্রতি ছিলেন অবিচল। ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচারের পতনের জন্য তিনি দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন। কিন্তু আজ সেই স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। তিনি স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ দেখে যেতে পারেননি। আজকের বাংলাদেশে তাঁর খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। তিনি সারা জীবন আপনাদের জন্য, যশোর তথা দেশের দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তরিকুল ইসলাম একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন। তার মতো ব্যক্তিরা দেশে বার বার জন্মায় না। যুগে যুগে কালে কালে ক্ষনে ক্ষনে তরিকুল ইসলামের মতো নেতার জন্ম হয়। আজকের এই স্মরণসভা থেকে মরহুম তরিকুল ইসলামের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

তিনি বলেন, আজকের মতোই ৭ নভেম্বর জাতির জন্য আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশ প্রেমিক সৈনিক জনতা এক হয়ে জাতিকে এক মহা দুর্যোগ থেকে রক্ষা করেছিলেন। ২৪’ জুলাই ছাত্র জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে এই জাতিকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করে দেশের দামাল ছেলেরা এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন এখনো বাস্তবে রুপ পায়নি। বর্তমান অন্তর্বতী সরকার জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গনতন্ত্রের পথকে সুগম করার চেষ্টা করছেন। আমরা এই সরকারকে সহায়তা করছি।

কিন্তু ইউনুসের সরকার একটি ঐক্যমত্য কমিশেনর মাধ্যমে জুলাই সনদে স্বাক্ষর সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু সেই সনদ সাক্ষরের পর উপদেষ্টা পরিষদ এক ব্রেফিংয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে বসে একমত পোষন করার জন্য আল্টিমেটাম দিলেন। যেটা ঠিক হয়নি। রাজনৈতিক দল গুলো উপদেষ্টাদের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে বলে তারা মনে করে। কিন্তু তাদের এই ধারনা সঠিক নয়। আমরা অনেক সহ্য করেছি। বিএনপি রাজপথে ভেসে আসা কোন রাজনৈতিক দল নয়। আমরা এদেশের মানুষের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে আমরা দেশে রাজনীতি করি। ফলে আমাদের ফেলনা মনে করলে ভুল করবে।

রাজনৈতিক দলগুলোকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার পরিনাম ভালো হবে না। একটি দল দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে ঘোলা করারচেষ্টা করছে। যার পরিনাম কখনো বালো হবে না। আজ এই শোকাহত পরিবেশ আমরা আপনাদের বলেত চাই, এই সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তার পরিনাম ভালো হবেনা। তাই দ্রুত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই অন্তবর্তী সরকারকে তার যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে। ব্যর্থতার দায় নিয়ে আপনাদের বিদায় হোক সেটা বিএনপি চায় না। কিন্তু যদি নির্বাচন নিয়ে কোন টালবাহানা করেন তবে তার পরিনাম হবে ভয়াবহ।

পরিশেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মরহুম তরিকুল ইসলামের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং যশোরের ৫টি সংসদীয় আসনের প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত ধানের শীষের প্রার্থীদের পরিচয় করে দেন এবং ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)