ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি : ফুলতলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে ধরে গৃহবধূর আসিয়া খানম চুমকি (৩০) হত্যা মামলার গ্রেফতার আসামি হোসেন কাজী (২৯) আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার বিকেলে খুলনার চিফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে চুমকির লাশের ময়না তদন্ত শেষে তার বাবার বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া থানার যাদবপুর গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
ফুলতলা থানার ওসি জেল্লাল হোসেন বলেন, গ্রেফতার নড়াইল সদরের উজিরপুর গ্রামের মৃত রেজা কাজীর পুত্র হোসেন কাজী (২৯) কে বুধবার দুপুরে খুলনার চিফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে সে গৃহবধূ চুমকিকে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, চুমকি ছিল তার পূর্ব পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ এমনকি উপহার সামগ্রী প্রদান এবং বিভিন্ন স্থানে সুযোগ বুঝে ঘুরতে যেত। গত ১০ অক্টোবর দুপুরে হোসেন কাজী চুমকির বসতঘরে অবস্থান করে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে চুমকির চাচা শ্বশুর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হোসেনকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার ভোর বেলায় সবার অজান্তে ধারালো ছুরি নিয়ে তাদের ছাদের উপর আত্মগোপনে থাকে। সুযোগ বুঝে সে বেলা সাড়ে ১১টায় চুমকির কাছে যায় এবং তার পাওনা উপহার সামগ্রী ও টাকা ফেরত চায়। উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ক্ষীপ্ত হয়ে ছুরি দিয়ে চুমকির গলা কেটে ফেলে। রক্তমাখা ছুরিটি ওয়াশরুমের ফলস ছাদে রেখে হোসেন কাজী ছাদের উপর পানির ট্যাংকের মধ্যে আত্মগোপন করে। সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগেই পুলিশ তাকে ধরে ফেলে।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে চুমকির লাশের ময়না তদন্ত শেষে তার পিতা নড়াইলের কালিয়া থানার যাদবপুর গ্রামে তাকিবুর শেখের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। সেখানে জানাজা শেষে সরকারি গোরস্তানে দাফন করা হয়। মঙ্গলবার চুমকির স্বামী ফুলতলার দামোদর জমাদ্দার পাড়া এলাকার ছরো মোড়লের পুত্র সহিদ মোড়ল হোসেন কাজীকে আসামি করে ফুলতলা থানায় মামলা করেন।