প্রেসবিজ্ঞপ্তি: টাকার অংকে আট হাজার পাঁচশ’ খুব বেশি নয়! কিন্তু এর এক-একটি টাকার সাথে মিশে আছে শিশু-শিক্ষার্থীদের আবেগ, ভালবাসা, স্বপ্ন। এর প্রতিটি টাকা এই শিশুরা জমিয়েছে তাদের টিফিনের টাকা থেকে। তাদের সেই অর্থ আবেগ-ভালবাসার খামে ভরে তুলে দিয়েছে চারুপীঠ ইনস্টিটিটের শৈল্পিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পে।
রোববার রিমঝিম, পুষ্পিতা, মেঘবতী, অমরাবতী, নিবেদিতা, পারভীন আক্তার, নুসরাত জাহান, ফারজানা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস, আনিসা জামান ও সুদিতিরা এসেছিল জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে। এরা যশোর ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, যশোর শিক্ষাবোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রী। খামে ভরে তারা নিয়ে এসেছিল টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে জমা করা আট হাজার পাঁচশ’ টাকা। এই টাকা তারা তুলে দিয়েছে চারুপীঠ ইনস্টিটিউটের শৈল্পিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পে। এই শিশু শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন-তাদের এই ভালবাসার অর্থে পূর্ণতা পাবে চারুপীঠ ইনস্টিটিউটের আধুনিক ভবন। যে ভবন হয়ে উঠবে যশোর তথা এই অঞ্চলের শিল্পচর্চার পীঠস্থান। এখানেই তাদের বিমূর্ত স্বপ্ন তুলির রঙিন আঁচড়ে মূর্ত হয়ে উঠবে শিল্পীদের হৃদয়-ক্যানভাসে। শিশুদের এই ভালবাসায় আপ্লুত হয়ে তা গ্রহণ করেছেন চারুপীঠের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ।
প্রসঙ্গত, চারুপীঠ ইনস্টিটিউটের এই আধুনিক ভবন নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় চার কোটি ৭০ লাখ টাকা। এই নির্মাণ তহবিলে তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আজাদুল কবির আরজু। তাঁর হাত ধরে বর্তমানে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন-এর সকল কর্মকর্তা ও কর্মী এই তহবিলের কলেবর বৃদ্ধিতে এগিয়ে এসেছেন। এই মহৎ উদ্যোগে বর্তমানে যশোরে কিছু সহানুভূতিশীল মানুষও সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।
চারুপীঠের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ জানান, এ পর্যন্ত ১ কোটি ৮২ লাখ টাকার অনুদান পাওয়া গেছে। সব বাধা উপেক্ষা করে আজকের তরুণ-তরুণীরা যে সহযোগিতা দিয়েছেন, তাতে আমরা আবেগে আপ্লুত। রিমঝিম, পুষ্পিতা, মেঘবতী, অমরাবতী, নিবেদিতা, পারভীন আক্তার, নুসরাত জাহান, ফারজানা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস, আনিসা জামান ও সুদিতিরা এক ব্যতিক্রমী মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চারুপীঠ ইনস্টিটিউট-এর আধুনিক ভবন নির্মাণ কাজে তাঁরা টিফিনের টাকা জমিয়ে আট হাজার পাঁচশত টাকা অনুদান প্রদান করে পাশে দাঁড়িয়েছে।
তাঁদের এই আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রমাণ করে যে ছোট ছোট উদ্যোগ বড় পরিবর্তন আনতে পারে। আমরা আশা করি, ‘বিন্দু বিন্দু জলকণা, বিশাল সিন্ধু গড়ে তোলে’ এই প্রবাদ বাক্যটির মতো এই মহৎ উদ্যোগে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এগিয়ে আসবেন।