নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর উপশহর এলাকার গোল্ডেন বাইক (ইজিবাইক) শোরুমে ডাকাতি মামলায় ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই স্বপন কুমার দাস।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, মুন্সিগঞ্জ টুঙ্গীবাড়ি থানার রংমেহার গ্রামের রহম উদ্দিনের ছেলে হিরা রহমান বিজয়, শ্রীনগর থানার উত্তর চকেরপাড়া মাসুদাবাদ গ্রামের শামছু মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে পা কাটা নজরুল, বিরাজদী খান থানার পাথরঘাটা গ্রামের সুন্দর সাগর ওরফে সাগর ঢালী, মাদারীপুর শিবচর থানার মুন্সি কাদিরপুর গ্রামের মৃত লতিফ মোল্যার ছেলে আলমগীর হোসেন, নরসিংদী বেলাবো থানার লোহাজুড়িকান্দা গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে রাকিব, নারানগঞ্জ ফতুল্লা থানার পাগলা গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে সোহেল, রূপগঞ্জ থানার দক্ষিন বড়ৈ গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে রবিন মিয়া, ঢাকা শ্যামপুর মডেল থানার ডালকানগর লেন এলাকার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে আমির হোসেন, দোহার থানার দক্ষিন চর জয়পাড়ার বাহাদুর আলমের ছেলে কালাম ওরফে লাল মিয়া, পিরোজপুরের নেছারাবাদ থানার বিন্না গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন, শরিয়তপুর পালং থানার বাখিরা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে ইউনুচ ও মাদারীপুর সদর থানার কাপালি গ্রামের মৃত তোরাব আলী মাতুব্বরের ছেলে জুয়েল মাতুব্বর।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে নুরনবী নিশান তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন বাইক বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। নৈশ প্রহরী হিসেবে এ দোকানে কাজ করতেন আবুল হোসেন। গভীর রাতে একদল ডাকাত নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ইজিবাইকের শোরুমে হানা দেয়। ডাকাতরা শোরুমের সামনে ট্রাক ভিড়িয়ে ১৫০ পিচ ব্যাটারী, টায়ার ও ইজিবাইকের যন্ত্রাংশ নিয়ে গেছে। যার মূল্য আনুমানিক ২৫ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় দোকান মালিক উপশহর এলাকার নুরনবী নিশান বাদী হয়ে অপরিচিত ডাকাতদের নামে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত কালাম ওরফে লাল মিয়া ও সুন্দর সাগর ওরফে সাগর ঢালীকে পলাতক দেখানো হয়েছে।