ক্রীড়া প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদকে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি থেকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেন ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড়রা। এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, কমিটি থেকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তাকে অবিলম্বে কমিটি থেকে প্রত্যাহার না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়াসহ কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। একই সাথে সংবাদ সম্মেলন থেকে ঘোষণা দেয়া হয় আগামী রোববার সকাল ১১ টায় প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাহতাব নাসির পলাশ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এর আগে একই দাবিতে গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার পর বুধবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন যশোরের ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড়রা। এদিকে, গতকাল জেলার ক্রীড়া সংগঠক, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়দের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্যে ক্রীড়া সংগঠক মাহতাব নাসির পলাশ ও উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন- কাজী ইনাম আহমেদ জেলার ক্রীড়া কর্মকান্ডে কখনও জড়িত ছিলেন না। তিনি যদি দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক হতেন তাহলে প্রথম যখন কমিটি গঠন করা হয় তখনই তাকে যুক্ত করা হতো। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের প্রথম দিকে নতুন দু’জনকে যুক্ত করা হয়েছে কমিটিতে। তখন তার নাম যুক্ত করতে পারতো। কিন্তু একজনকে পরিবর্তন করে তার নাম যুক্ত করা হয়। এ থেকে বোঝা যায় নির্দিষ্ট উদ্দ্যেশে হাসিলের জন্য তাকে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় সংযুক্ত করা হয়েছে। আর নিবাস হালদারের মতো একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠকের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, যাদের হাতে ক্রীড়াঙ্গন ধ্বংস হয়েছে তাদেরকে আবার যশোরের ক্রীড়াঙ্গনে পুর্নবাসন করার অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। বিগত দিনে কাজী ইনাম আহমেদ কাগজে কলমে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাথে যুক্ত ছিলেন। দৃশ্যমান কোনো সফলতা তিনি দেখাতে পারেননি। আমরা জানতে চাই, কার সুপারিশে এবং কোন অথরিটির মাধ্যমে তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থায় এডহক কমিটিতে সংযুক্ত হয়েছেন। বিগত দিনে নিজের স্বার্থে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন কাজী ইনাম। এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের ভাই হওয়ার সুবাদে অবৈধ ও অনিরপেক্ষ প্রভাব বিস্তার করে কিছু সুবিধাভোগী, দুর্নীতি পরায়ন সংগঠককে সাথে অনৈতিক সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে ক্রীড়াঙ্গনে মারাত্মকভাবে বিভাজন সৃষ্টি করেছিলেন। এসময় যশোর ক্রীড়াঙ্গন গঠনে কাজী ইনাম আহমেদকে অপসারণ করার জোর দাবি জানান নের্তৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার খান মোহাম্মদ শফিক রতন, ফুটবলার সৈয়দ মাশুক মুহাম্মদ সাথী, সাবেক ক্রিকেটার মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম আখতারুজ্জামান, সোহেল মাসুদ হাসান টিটো, শহীদ হোসেন লাল বাব, সোহেল আল মামুন নিসাদ, রায়হান সিদ্দিকী প্রবাল প্রমুখ।