মিরাজুল কবীর টিটো : যশোর শিক্ষা বোর্ডে শিক্ষার্থীদের নামের ভুল সংশোধন হলেও বেশির ভাগ সময় অনলাইনে সংশোধন হয় না। এতে করে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
অফিস সূত্র জানায়, যেসব শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট ও মার্কশিটে নাম, পিতার নাম ও মাতার নামের ভুল থাকে। সেগুলো সংশোধনের জন্য বোর্ডের নির্ধারিত ফি ১ হাজার ৩ টাকা সোনালী সেবার মাধ্যমে ও কাগজপত্র জমা দিয়ে তারা বোর্ডের অনলাইনে আবেদন করে। আবেদন করার এক থেকে দুই মাসের মধ্যে বোর্ড থেকে শিক্ষার্থীদের ম্যাসেজ দেয়া হয় নাম সংশোধন সভায় উপস্থিত থাকার জন্য। তারা যথাসময় সভায় উপস্থিত থাকলে বোর্ড থেকে নাম সংশোধন করে দেয়া হয়। সেটা হওয়ার পর শিক্ষার্থীকে ম্যাসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয় আপনার সার্টিফিকেট বা মার্কশিটের নামের ভুল সংশোধন হয়ে গেছে। এরপর সংশোধনের চূড়ান্ত চিঠি অনলাইন থেকে বের করে তাকে সার্টিফিকেট বা মার্কশিট তুলতে হয়। ফ্রেশ সার্টিফিকেট বা মার্কশিট তোলার জন্য শিক্ষার্থীকে ৬০৩ টাকা সোনালী সেবার মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে হয়। এটা জমা দিয়ে ফ্রেশ সার্টিফিকেট বা মার্কশিট বোর্ড থেকে নিয়ে যায়। সভায় ভুল সংশোধন হওয়ার পর যে শিক্ষার্থীর নাম, পিতার নাম বা মাতার নাম সংশোধন হবে। বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট সেটা অনলাইনে সংশোধন করেন। অথচ অনেক সময় এটা অনলাইনে সংশোধন না করায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
এমনই দুর্ভোগে পড়ে রাহাত কবির রাতুল নামে এক শিক্ষার্থী। সে মাগুরা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে এসএসসি ও মাগুরা সরকারি এইচএসসি কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে। সার্টিফিকেট ও মার্কশীটে পিতা-মাতার নাম ভুল সংশোধন করে ২ মাস আগে ফ্রেশ কপি তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু সংশোধনের বিষয়টি বোর্ড থেকে অনলাইনে সংশোধন করা হয় নি। সে ব্যাংক একাউন্ট করার সময় সমস্যায় পড়ে। বোর্ডের অনল্ইানে সার্চ দিয়ে দেখতে পায় তার সংশোধনের বিষয়টি অনলাইনে সংশোধন করা হয়নি, আগের ভুলটা রয়ে গেছে। এজন্য সে ব্যাংক একাউন্ট করতে পারছে না। মঙ্গলবার বোর্ডে এসে জানালে সিস্টেম এনালিস্ট সালমা কোহিনুর অনলাইনে নামের ভুল সংশোধনের কপি আপডেট করেন।
সিস্টেম এনালিস্ট জানান, বোর্ডের নেটওয়ার্কের কারণে সার্টিফিকেট, মাকর্শিট সংশোধনের পর দুই একটি অনলাইনে সংশোধন হয় না।
এ ব্যাপারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন জানান, যে সব শিক্ষার্থীর নামের ভুল সংশোধন হবে সেগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে চিঠি জারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই সাথে অনলাইন সংশোধন করতে বলা হয়েছে।