স্পন্দন ডেস্ক: ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সময় মব ভায়োলেন্স করা ব্যক্তিরা ‘সুবিধা’ করতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে বৈঠক হয় জ্যাকবসনের। সেখানে মার্কিন দূতাবাসের রাজনীতিবিষয়ক প্রধান ডেভিড মু এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফিরোজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
জ্যাকবসনের সঙ্গে কী কী আলোচনা হয়েছে, তা বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, “উনি জানতে চাইলেন, ‘নির্বাচনের সময় কোনো পার্টির ওপরে যদি মব সৃষ্টি হয়, তাহলে কী হবে?’ আমি বললাম, ইলেকশন তো এখনো দেরি আছে। যখন ৩০০ আসনে একদিনে ভোট হবে, তখন তা (মব) ৩০০ জায়গায় ভাগ হয়ে যাবে। যারা মব সৃষ্টি করে ওরা দেখবেন, যে যার যার আসনে চলে গেছে। একসঙ্গে এত লোক একত্রে আর পাওয়া যাবে না, ঢাকা শহর খালি হয়ে যাবে। যারা মব সৃষ্টি করতে চাইবে, তারা সুবিধা করতে পারবে না।’’
নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইসির নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করে সিইসি।
তিনি বলেন, “নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব আমাদের হাতে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য আমরা আমাদের দিক থেকে পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, যাদের যা করার আছে—সব জায়গায় আমরা সাপোর্ট দিই এবং তাদের সাথে আমাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকে। তারাও খুব কো-অপারেটিভ থাকে সব সময়ই।”
সিইসি বলেন, “অতীতে যেমন করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। এই আস্থার জায়গা থেকে আমি উনাকে বলেছি যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, এই অভিজ্ঞতা থেকে বলেছি।
“আমরা বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের আশঙ্কার কথা শুনেছি, কিন্তু যখন নির্বাচন এসেছে তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসেছে। কারণ নির্বাচনের সময় সবাই চায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক এবং একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হোক। ‘’
সিইসি বলেন, সরকারের তরফে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটের সব প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই সরকার সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
নানা ধরনের গুজবের বিষয়ও সিইসির কাছে তুলে ধরেন মার্কিন দূত।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “আমি বলেছি এটা গুজবের দেশ। নির্বাচন ঘিরে এসব গুজব ছড়ায়। গুজবে কান না দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।”