Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

মহেশপুরে গুলিবিদ্ধ হয়েও জুলাই যোদ্ধা তালিকায় ঠাঁই হয়নি রাজ্জাকের

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর , ২০২৫, ১০:২৬:৫০ পিএম

 

অসীম মোদক, মহেশপুর থেকে : ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর সারা দেশে জুলাই যুদ্ধে নিহত ও আহতের তালিকা তৈরি করে সরকার। মহেশপুরে যাচাই বাচাই শেষে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে ৩৯ জনের নাম গেজেটে চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু গণঅভ্যত্থানে সম্মুখ ভূমিকা রেখে গুলিবিদ্ধ হয়েও জুলাই যোদ্ধা তালিকায় ঠাঁই হয়নি আব্দুর রাজ্জাকের। আব্দুর রাজ্জাক পৌর শহরের গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। এদিকে গেটেজের ৩৯ জনের মধ্যে অনেকে ভুয়া বলে অভিযোগ রয়েছে।   

জানাযায়, ৫ আগস্ট সকালে মহেশপুরে পুলিশের সাথে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় আন্দোলনকারীদের। আন্দোলনকারীদের রুখতে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। এতে আন্দোলনকারীদের অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। এসময় অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী আব্দুর রাজ্জাকের হাতে ও কোমরের পিছন দিকে দুটি শটগানের গুলি লাগে। আব্দুর রাজ্জাকসহ গুলিবিদ্ধরা মহেশপুর হাসপাতালে গিয়ে গুলি বের করে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এরপর জুলাই যোদ্ধায় আহতের নামের তালিকা তৈরি শুরু হলে মহেশপুর পৌরসভা থেকে ফরম নিয়ে পূরণ করে সকল কাগজপত্রসহ মহেশপুর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কাছে জমা দেন আব্দুর রাজ্জাক। যাচাই বাছাই শেষে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে ৩৯ জনের নাম গেজেটে চূড়ান্ত করা হলেও ওই তালিকায় জায়গা হয়নি গুলিবিদ্ধ আব্দুর রাজ্জাকের।

মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয় শাকিল বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে আব্দুর রাজ্জাক হাসপাতালে আসেন। হাতে ও কোমরের পিছন দিকে লাগা দুটি গুলি বের করে দেয়া হয়।

জুলাই যোদ্ধা তালিকায় থাকা আহত অমিত হাসান জানান, আব্দুর রাজ্জাক আমাদের সাথে আন্দোলনে ছিলেন। আন্দোলনের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।

মহেশপুর পৌরসভার কর্মচারী মজনু জানান, হাসপাতালের রেজিস্ট্রারের ৪৮ নম্বর ক্রমিকে আব্দুর রাজ্জাকের নাম থাকায় আমার কাছে ফরম দেয়া হয়েছিলো। ফরমটি পূরণ করে জমা দেয়ার জন্য আমি আব্দুর রাজ্জাকের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলাম।    

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে আমরা কয়েকজন মহেশপুর হাসপাতালে গিয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ কেস বলে আমাদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানালে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এরপর চিকিৎসকরা আমাদের চিকিৎসা সেবা দেন। হাসপাতালের রেজিষ্ট্রারে ৪৮ নম্বর ক্রমিকে আহত হিসেবে আমার নাম রয়েছে। মহেশপুর পৌরসভা থেকে জুলাই যোদ্ধার ফরম সংগ্রহ করে সকল কাগজপত্রসহ আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে জমা দিই। এসময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমার কাছ থেকে প্রেসক্রিপশনের মূল কপি চেয়ে নেন। কিন্তু আহতদের তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দিয়ে দেয়া হলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে আমি প্রেসক্রিপশেনর মূল কপি চাইলে তিনি আর ফেরত দেননি। তবে চূড়ান্ত তালিকায় নাম থাকা ৩৯ জনের অনেকে ভূয়া। প্রশাসনের সাথে যোগসাজসে অনেকেই এই সুবিধা নিয়েছে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু বলেন, ডিসি অফিস থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমার কিছু করার নেই। তার কাছ থেকে প্রেসক্রিপশনের মূল কপি নেয়ার অভিযোগটি ভিত্তিহীন।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)