কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ-যশোর ৬ লেন মহাসড়কে অধিগ্রহণকৃত জমি ও স্থাপনার ন্যায্যমূল্যের দাবিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে কালীগঞ্জ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকেরা। রোববার বেলা ১২টায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে কালীগঞ্জ উপজেলার ১৯টি মৌজার ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের পক্ষে নবচিত্রের প্রধান সম্পাদক আলহাজ শহিদুল ইসলাম জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়ালের হাতে স্মারকলিপিটি প্রদান করেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আপনাদের দাবীর বিষয়গুলি সমাধানে সার্বিক সহযোগিতাসহ পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। মানববন্ধনে নারী পুরুষসহ কালীগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত শত ভূমি মালিক ও ব্যবসায়ী অংশ নেয়।
মানববন্ধনে আসা ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, অধিগ্রহণে জমির মূল্য নির্ধারণে ব্যাপক বৈষম্য করা হয়েছে। বর্তমান যে জমি মুল্য ৫ লাখ টাকা শতক সেই জমির মূল্য দেয়া হচ্ছে মাত্র ১৮ শত টাকা। বাণিজ্যক শহরের মেইন বাসস্টান্ডে আড়পাড়া মৌজার এক শতক জমির বর্তমান মূল্য কোটি টাকার উপরে। কিন্তু সেই জমি মাত্র ৬ লাখ টাকা শতক নির্ধারণ করা হয়েছে। অনেক স্থানে জমি বাণিজ্যিক হলেও তা ধরা হয়েছে পতিত শ্রেণির। ৭ বা ৮ ধারার নোটিশ দিলেও জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের ডাকা হয়নি। নোটিশ অনুযায়ী সড়কের উভয় পাশের জমি শ্রেণি অনুযায়ী এক শতক জমির বর্তমান বাজার মূল্য ৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা। সেখানে এসব জমির মূল্য কোথাও কোথাও ২ থেকে ৫ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। যা কিনা অর্ধশত বছর পূর্বের আগের মৌজা রেট। এমন হটকারী মূল্যে জমি অধিগ্রহণের ফলে পথে বসতে চলেছে কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার থেকে ফুলবাড়ি পর্যন্ত ১৯ মৌজার শত শত জমির মালিক। ক্ষতিগ্রস্তরা আরো বলেন, সড়কের দুই পাশে যেসব জমি নিয়ে আমরা ব্যবসা ও বসবাস করছি, তা আমাদের বাপ দাদার সম্পত্তি। বংশানুক্রমে আমরা এসব ভূমি ব্যবহার করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। তাই অধিগ্রহণকৃত জমির ৮ ধারা প্রত্যাহার ও জমি ও ভবনের যে মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে তা বন্ধ করে পুনরায় সার্ভে করে স্থাপনা ও জমির বর্তমান মূল্য নির্ধারনের দাবী জানান তারা।