কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত জমি ও ভবনের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা। শনিবার বেলা ১১টায় কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের মোটর মালিক সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আলহাজ শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ২০২০ সালে ৬ লেন প্রকল্প পাস হওয়ার পর ২০২২ সালে জমি ও স্থাপনা অধিগ্রহণের কাজ শুরু করে। অধিগ্রহণে যে জমি বর্তমান মূল্য ৫ লাখ টাকা শতক সেই জমির মূল্য দেয়া হচ্ছে ১হাজার ৮শ টাকা। অনেক স্থানে জমি বাণিজ্যিক হলেও তা ধরা হয়েছে ডোবা পতিত শ্রেণির। ৭ বা ৮ ধারার নোটিশ দিলেও জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের ডাকা হয়নি। নোটিশ অনুযায়ী সড়কের উভয় পাশের জমি শ্রেণি অনুযায়ী এক শতক জমির বর্তমান বাজার মূল্য ৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা। সেখানে এসব জমির মূল্য কোথাও কোথাও ২ থেকে ৫ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। যা কিনা অর্ধশত বছর পূর্বের আগের মৌজা রেট। এমন হটকারী মূল্যে জমি অধিগ্রহণের ফলে পথে বসতে চলেছে কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার থেকে ফুলবাড়ি পর্যন্ত ১৯ মৌজার শত শত জমির মালিক। তিনি আরো বলেন, সড়কের দুই পাশে যেসব জমি নিয়ে আমরা ব্যবসা ও বসবাস করছি, তা আমাদের বাপ দাদার সম্পত্তি। বংশানুক্রমে আমরা এসব ভূমি ব্যবহার করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। তাই অধিগ্রহণকৃত জমির ৮ ধারা প্রত্যাহার ও জমি এবং ভবনের যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা বন্ধ করে পুনরায় সার্ভে করে স্থাপনা ও জমির বর্তমান মূল্য নির্ধারণের দাবি জানান। তাদের দাবি মানা না হলে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে আমরা আইনি সহযোগিতা ও হরতাল অবরোধের মত আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।