ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে প্রকাশ্যে মঞ্জুরুল বিশ্বাস (৩৭) নামের একজনকে কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। গত বুধবার দুপুরে ঘটনা ঘটলে আদালতে আসা লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান।
প্রকাশ্যে আদালত চত্বরে পুলিশের সামনে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা জন্ম দেয়। আহত মঞ্জুরুল বিশ্বাস শহরতলীর লক্ষীকোল এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী আসমানী খাতুন বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলার প্রধান আসামী শাহ আলম আদালতে আত্মসমার্পন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ পৌর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সহপাঠীর কাছ থেকে ২০ টাকা ধার নেয় শহরের লক্ষীকোল এলাকার মঞ্জুরুল বিশ্বাসের ছেলে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া রিফাত। পরে সেই টাকা পরিশোধ করলেও সাইকেল আটকিয়ে দেয় একই শ্রেনিতে পড়ুয়া এলাকার আলী কদরের ছেলে সহপাঠী আবির। এই নিয়ে দুই সহপাঠির মধ্যে বাকবিতান্ডা হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি শিক্ষার্থী আবির তার ভাই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য শাহ আলম ও ইমরান ডেকে আনে। সেসময় নিহতের ছেলে রিফাতকে তারা মারার হুমকি দেয়। এ ঘটনা রিফাত তার পিতা মঞ্জুরুলকে জানায়। এরপর রিফাতের পিতাও স্কুলের সামনে এসে হাজির হয়।
ঘটনাটি মিমাংসা করার কথা বলে সহপাঠির দুই ভাই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য শাহ আলম ও ইমরান মনঞ্জুরুল বিশ্বাসকে ঝিনাইদহ জজ কোর্টের মধ্যে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে শরীরের বিভিন্নস্থানে ছুরিকাঘাত করে জখম করে পালিয়ে যায়। আদালত প্রাঙ্গনে এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ধিক্কার জানান আদালতে আসা বিভিন্ন শ্রেনির মানুষেরা। এ ঘটনায় কোর্টপাড়ায় চরম চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঝিনাইদহ সদর ফাঁড়ির এসআই রফিকুল ইসলাম।