বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট পৌরসভায় দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌর নাগরিকবৃন্দের নামে অধ্যাপক মোস্তাহিদুল আলম রবি। মঙ্গলবার দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পৌরবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, শেখ শাহেদ আলী রবি, বেগ শামীম হাসান, মঞ্জুরুল ইসলাম, শেখ মইনুল ইসলাম মোস্তফা, রফিকুল ইসলাম খোকন, ফকরুল হাসান বাপ্পী।
লিখিত বক্তব্যে মোস্তাহিদুল আলম রবি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নামে চলছে মহা অব্যবস্থাপনা। ১০০ সুইপার আছেন। তাদের অনেকেই অসুস্থ ও বেশ কিছু নারী সদস্য রয়েছে। তাদের ময়লা ফেলার আধুনিক কোন উপকরণ নেই। তাদের কোন প্রশিক্ষণ নেই। তারা এক ঘণ্টা কাজ করে। স্কুলের সামনে এবং কবরস্থানের সামনে ময়লা ফেলায় তাদের নিয়মিত কাজ হয়ে গেছে। আবার অর্থের বিনিময়ে বর্জ্য অপসারণের কাজ দেয়া হয়েছে একটি প্রতিষ্ঠানকে। যা নাগরিক জীবনে বোঝার উপর শাকের আটি সম।
বৃটিশ আমল বা তারও আগে থেকে শহরের উপর কয়েকটি প্রবাহমান খাল ছিল। খালগুলি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। আবার দুই পাশে ময়লা ফেলে খালগুলিকে সংকীর্ণ করে ফেলা হয়েছে। শহরের রাস্তাঘাট, বাগান ক্ষেত জলমগ্ন হয়ে থাকা যেন অনিবার্য হয়ে পড়েছে। এই জলমগ্নতা দুরিকরণের সময়োপযোগী কোন উদ্যোগ দেখা যায় না।
শহরের রাস্তাগুলি সংস্কারের নামে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা সহকারী প্রকৌশলী এ টি এম রেজাউল হক রিজভী। রিজভীর আচরণ ছিল মাস্তানদের মত। প্রচুর অর্থ উপার্জন করে তিনি সুন্দরবন অঞ্চলে রিসোর্ট করেছেন। তার ক্ষমতার উৎস ছিল অবৈধ মেয়র খান হাবিবুর রহমান। শহরের এমন কোন রাস্তা নেই যেখানে কোন মানুষ সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারছে। রাস্তাঘাট দেখে মনে হয় এটা কোন যুদ্ধ বিধ্বস্ত জনপদ। বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙ্গে রড নিয়ে যাচ্ছে। সোলার লাইটগুলো ল্যাম্পপোস্ট থেকে খুলে নিয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি রাস্তা কিছুদিন আগে সংস্কার করা হল্ওে তা বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। খোয়াগুলে উঠে যেতে দেখা যাচ্ছে।
অপ্রতুল, দুর্গন্ধযুক্ত ও অনিয়মিত পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। আবার নাগরিকবৃন্দকে বিলও দিতে হচ্ছে বেশি। সংবাদ সম্মেলনে সহকারী প্রকৌশলী রিজভীর অপসরণের দাবি করা হয়।