নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ডের লটারিতে ৮০ লাখ টাকা পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সুজন ইসলাম নামে সৌদি প্রবাসীর প্রায় নয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় যশোর কোতয়ালি থানায় দায়ের করা মামলার আসামি রনি ইসলামকে (২২) নীলফামারী থেকে আটক করা হয়েছে। ডিবি পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত শনিবার নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানিয়াল পুকুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করে। রনি ওই গ্রামের মহুবার রহমানের ছেলে।
প্রবাসী সুজন ইসলামের শ্বশুর সদর উপজেলার কনেজপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন কোতয়ালি থানায় দায়েরকরা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে জামাই সুজন ইসলাম সৌদি আরবে থাকে। সেখানে তার ফেসবুকে বাংলাদেশ থেকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা লিংক পাঠিয়ে কথাবার্তা বলে। এক পর্যায়ে তাকে বলা হয় থাইল্যান্ডে লটারি হবে। সেখানে প্রথম পুরস্কার হিসাবে ৮০ লাখ টাকা পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখায়। তিনি প্রলোভনে পড়ে রাজি হয়। তাকে জানানো হয় প্রাইজমানির ভ্যাট হিসাবে অগ্রিম ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। এতেও তিনি রাজি হন। পরে তার শ্বশুর যশোর থেকে বিকাশের মাধ্যমে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ও বিভিন্ন সময় ৮ লাখ ৮২ হাজার ৫শ টাকা পাঠান। পরে আরে টাকা পাঠানোর জন্য বললে তার সন্দেহ হয়। তিনি বুঝতে পারেন অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তার জামায়ের সাথে প্রতারণা করেছে। ফলে তিনি গত শুক্রবার কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
যশোর ডিবি পুলিশের এসআই শিবুপদ ও এসআই বিপ্লব সরকার জানিয়েছেন, মামলা হওয়ার পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রনির অবস্থান সনাক্ত করা হয়। পরে শনিবার সন্ধ্যার দিকে নীলফামারীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রনিকে আটক করা হয়। সে ওই টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।