Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

যশোরে দুই মারপিটের ঘটনায় থানায় মামলা, আসামি ১৩

এখন সময়: বুধবার, ১৪ মে , ২০২৫, ০৩:০২:২৭ পিএম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ও এনায়েতপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিট ও লুটের আলাদা দুটি ঘটনায় কোতয়ালি থানায় আলাদা দুইটি মামলা হয়েছে। দুইটি মামলায় মোট ১৩জনকে আসামি করা হয়েছে।

নরেন্দ্রপুর গ্রামের খন্দকার মামুন অর রশিদের ছেলে খন্দকার তামিমের দায়ের করা মামলার আসামিরা হলো ৯জন। এরা হলো, মৃত ফজলে করি বিশ্বাসের তিন ছেলে ফশিয়ার রহমান (৬০), রবিউল ইসলাম (৩৫), ওলিয়ার রহমান (৫৮), ওলিয়ারের স্ত্রী রহিমা বেগম (৪০), ফশিয়ারের ছেলে আব্দুর রহমান (২১), রবিউল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), আসলামের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (২৮), ফশিয়ারের স্ত্রী আছিয়া বেগম (৩০) ও ছেলে হাবিব (২৩)।

এজাহারে তামিম উল্লেখ করেছেন, ১৪ বছর আগে রেজাউলের স্ত্রী সালমা খাতুনের কাছ থেকে জমি কিনে তার পিতার নামে নামজারি করে তা ভোগ দখল করে আসছেন। এই নিয়ে বিরোধের জেরে আসমিরা গত ৫ মে সালমা খাতুনকে মারপিটে জখম করে। পরদিন ওই ঘটনার জেরে আসামিরা তার বাড়ির মধ্যে ঢোকে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সে সময় নিশেধ করায় তাকে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, ধারালো দা, শাবল প্রভৃতি দিয়ে মারপিট করে। জোর করে জমির সীমানা পিলার তুলে নেয়। বিভিন্ন প্রকার গাছ গাছালি কেটে নেয়। তিনি ঠেকাতে গেলে তাকে মারপিটে জখম করে। এ সময় চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ফের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এবং থানায় মামলা করেন।  

এনায়েতপুর গ্রামের মহিদুল মোল্লার ছেলে রাশেদ খানের দায়েরকরা মামলার আসামি হলো, ওই গ্রামের মহিদুল মোল্লা (৫৫), তার স্ত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা (৪৫) এবং তাদের দুই ছেলে জনি আলম (২৪) এবং রনি আলম (২০)।

এজাহারে রাশেদ খান উল্লেখ করেছেন, আসামিদের সাথে তার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সে কারনে তাকে নানা ভাবে হুমকি দিতো। গত ১০ মে সকাল ৮টার দিকে আসামিরা তার বাড়ির মধ্যে যায় এবং নাম ধরে ডাকে। সে সময় তিনি ঘর থেকে বের হলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তিনি নিধেশ করায় তাকে লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমন করে। তাকে মারপিটে জখম করে। সে সময় তার স্ত্রী মিতু বেগম (২৫) ঠেকাতে এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করে। এ সময় চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তিনি ও তার স্ত্রী যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন এবং থানায় মামলা করেন।   

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)