মিরাজুল কবীর টিটো: যশোর সদর উপজেলার বিরামপুর মালোপাড়ার কাঁচা রাস্তার কারণে ১০০ পরিবারের মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।
সদরের বিরামপুরের বিমলরায় চৌধুরীর বাড়ির পূর্বপাশে মালোপাড়া। সেখানে ১০০ এর বেশি পরিবার বসবাস করে। ওই পাড়ার মধ্যে একটি মাটির কাচা রাস্তা আছে। রাস্তাটি দিয়ে বিরামপুরের মানুষ উপশহর সারথী মিল এলাকায় গিয়ে উঠে। সেখান থেকে তারা শহরে যায়। অথচ সেখানকার রাস্তাটি ৩০ বছরের বেশি সময় সংস্কার করা হয়নি। সংস্কার না করার ফলে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা এলাকাবাসীর জন্য প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা মফিজুর রহমান জানান, এ রাস্তাটি অনেক বছর যাবৎ অবহেলায় পড়ে আছে। রাস্তাটি নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আওতার মধ্যে হলেও চেয়ারম্যান বা মেম্বাররা রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বৃষ্টি হলে রাস্তার মধ্যে এতবেশি কাদাপানি জমে যে মানুষের চলাচল করা দায় হয়ে পড়ে। গত সপ্তাহের বৃষ্টি হওয়া রাস্তাটি মধ্যে কাদাপানি জমে আছে। যা এখনো শুকায়নি। রাস্তাটিতে কাদা পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন গাবতলা হয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে আসাযাওয়া করতে হয় । কাদাপানি জমে থাকায় রাস্তাটি দিয়ে রিকসা,ভ্যান, মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারে না। আরেক বাসিন্দা মিজানুর রহমান (৩৫) জানান, আমি জন্মের পরেও এ রাস্তাটি সংস্কার করতে দেখিনি। সংস্কার না করার ফলে রাস্তাটি আমাদের চলাচল করতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাতের বেলা রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে বেশি সমস্যা হচ্ছে। খন্দকার জালাল উদ্দীন নামে একজন বাসিন্দা জানান, এ রাস্তাটি আগে ইটের সলিং ছিল। দীর্ঘ দিন সংস্কার না করার ফলে এখন কাচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। বৃষ্টি হলে রাস্তাটি এতবেশি কাদা পানি জমে থাকে, তখন এলাকাবাসিকে পশ্চিম পাশে রাস্তাদিয়ে আধা কিলোমিটার ঘুরে গাবতলা হয়ে শহরের উঠতে হয়। রাস্তাটি ভাল থাকলে সারথী মিল এলাকা হয়ে সহজেই শহরের যাওয়া যায়।
রতন বিশ্বাস, সঞ্জয় কুমারসহ আরো কয়েকজন এলাকাবাসীর একই অভিযোগ। তারা রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।