মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পল্লীতে ওয়ারেন্টভূক্ত এক আসামিকে গ্রেফতারকালে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও অপর দুজনকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের জিউধরা গ্রামে।
নিহত শাফায়েত হোসেন তালুকদার (৩০) ওই গ্রামের ফারুক হোসেন তালুকদারের ছেলে। আহতরা হলো তার চাচা শাহিন তালুকদার(৫৮) ও চাচাতো ভাই সোহেল তালুকদার।
নিহত শাফায়েত তালকুদারের মা শাফিয়া বেগম ও স্ত্রী তন্বী বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যারা শাফায়াতকে বিনা অপরাধে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
থানা পুলিশ সকাল ১০ টার দিকে নিহত শাফায়েত হোসেনের লাশসহ আহত শাহিন তালুকদার ও সোহেল তালুকদারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে দেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশের গাড়িতে করে ৩ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে। আহতদের মধ্যে শাফায়েত তালুকদারকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এলাকাবাসী ও পুলিশের একটি সূত্র বলছে, সোহেল নামে ওয়ারেন্টভূক্ত এক আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে ডাকাত ডাকাত বলে কিছু লোক পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে। পরে পুলিশ তাদের জনবল বাড়িয়ে ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় শাফায়েত, শাহিন ও সোহেলকে আটক করে থানার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে শাফায়েত মারা যায়।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাজিব -আল রশিদ বলেন, ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশের পৃথক টিম পাঠানো হয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত এখনই বলা যাচ্ছে না। এলাকার একাধিক সূত্রে জানাগেছে, নিহত শাফায়াত, আহত শাহীন ও সোহেল ওই এলাকার আতঙ্ক, চিহ্নিত সন্ত্রাসী লোকমান বাহিনীর সদস্য। গত ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকাবাসী তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি ছোরা, রাম দা, চাকু, লাইসেন্সসহ একটি ১ নলা বন্দুক, ২১টি কার্তুজ, ৩ টি মোবাইল ফোন, ৬ টি পুলিশের পোশাক ও ২২ বোরের ৯টি গুলি উদ্ধার করেছে।