মারুফ কবীর: শিশুদের জন্য ঈদ এক অনন্য আনন্দের উপলক্ষ। ঈদের প্রথমেই কেনাকাটা করা হয় শিশুর জন্য। আর শিশুরা এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে সুন্দর, স্টাইলিশ এবং আরামদায়ক পোশাক পরিধান করে। ছেলে শিশুর জন্য সিল্ক বা কটন, কুর্তা, পাঞ্জাবি, মোম শার্ট এবং সাদা প্যান্ট খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মেয়েদের পোশাকে গ্ল্যামারস লেহেঙ্গা,স্কার্ট,সালোয়ার-কামিজ বেশি চলছে। এবছর মেয়ে বাচ্চাদের ফ্লাওয়ার প্রিন্টের পোশাকের চাহিদা বোশি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ফুলের প্রিন্ট বা অ্যাপ্লিক ডিজাইনে তৈরি ড্রেসগুলো ঈদ উৎসবের জন্য অত্যন্ত সুন্দর এবং উপযুক্ত। সেমি-ফিট টপ এবং ফুল স্কার্ট, সিল্ক বা কটনের জামা শিশুদের জন্য চমৎকার এক পোশাক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। শিশু পোশাক ব্যবসায়ীরা বলেন, এবছর ভারতীয় পোশাকের অধিক্য কমেছে। দেশি ফ্যাশন হাউজের পোশাক সে জায়গা দখল করেছে। দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো এনেছে নান্দনিক ডিজাইন ও আরামদায়ক ফেব্রিকের শিশু কালেকশন। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে ডিজাইন করা হয়েছে ফ্রক, পাঞ্জাবি, লেহেঙ্গা, শার্ট-প্যান্টসহ নানা ধরনের পোশাক। কারচুপি, জরির কাজ ও এমব্রয়ডারির অপূর্ব ছোঁয়ায় সাজানো হয়েছে পোশাকগুলো, যা শিশুর ঈদ আনন্দকে আরও রঙিন করে তুলবে। এবারের ঈদুল ফিতর পড়ছে গরমের সময়। এ কারণে শিশুর পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফ্যাশনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আরামের কথাটাও মাথায় রাখা হয়েছে বলে জানান শহরের বেবি ফ্যাশনের বিক্রয় কর্মী সলেমান। এইচ এমএম রোডের ডরেমনের প্রোপাইটর নাজমুল ইসলাম রিপন বলেন, এবারের ঈদে শিশুদের ফ্যাশনে আরামদায়ক, আধুনিক এবং ঐতিহ্যবাহী ডিজাইনের মিশ্রণ দেখা গেছে। নতুন নতুন ডিজাইন, রং এবং কাপড়ের কারণে শিশুদের পোশাকে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। ফ্লাওয়ার প্রিন্ট, কাস্টমাইজড পোশাক এবং পার্টি স্টাইল পোশাক এসবের মধ্যে শিশুরা বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবে। বিশেষ করে ডিজাইনার পোশাক এবং ক্যাজুয়াল স্টাইল শিশুদের মধ্যে এক নতুন ভালোলাগা সৃষ্টি করে। এদিকে, বিগত বছরগুলোর ন্যায় এ বছর শিশুদের পোশাকের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিশুদের ঈদ আনন্দ অন্য সবার চেয়ে বেশি। তাই ঈদ কাছাকাছি চলে আসায় দোকানে ভিড় বেড়েছে। শিশুদের পোশাকেও বৈচিত্র এসেছে এবার। হামিদা রেগম মেয়েকে নিয়ে এসেছেন পোশাক কিনতে। তিনি বলন, মেয়ের জন্য পার্টি ফ্রক ও জুতা কিনেছেন। সন্তানের জন্য পোশাক কিনতে পেরে খুশি হলেও বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। বুধবার সরেজমিনে বাজারে গিয়ে দেখা যায় , মেয়েদের লং ফ্রক, কটন ফ্রক ও ডিভাইডার শর্ট স্কার্টের কদর বেশি। আর ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট, গেঞ্জি সেট, থ্রি কোয়ার্টার, শর্ট প্যান্ট ও ফুল প্যান্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোটদের জিন্স প্যান্ট ৭’শ থেকে ২৫শ’, শার্ট ৫’শ থেকে ১৪’শ’ টাকা , টি শার্ট ২’শ থেকে ৯শ’ , মেয়েদের ফ্রগ ১ থেকে ৬ হাজার টাকা , স্কার্ট ১২’শ’ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। সারারা নামের ড্রেস ১৫’শ থেকে ৩ হাজার, টুপিস ও থ্রিপিসের দাম ৮শ’ থেকে ৩ হাজার, লেহেঙ্গা ৭’শ থেকে আড়াই হাজার, গাউন ১৫’শ থেকে ৫ হাজার টাকা, শার্টের দাম ৪’শ থেকে ১২’শ টাকা।