নিজস্ব প্রতিবেদক, মহেশপুর : ফুল ফল আর সবজির নানা রঙের সমাহার। এমন সবুজে ঘেরা রঙিন বাগান দেখা গেছে কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারের একটি বাসায়। ছাদ গাছের পরিচর্যা করছেন বেলাট দৌলতপুর আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক শাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী শিক্ষক হোসনেয়ারা। কেউ কাটার দিয়ে ডাল ছাটায় ব্যস্ত কেউ আবার পানি দিয়ে পরিচর্যায় ব্যস্ত। ছাদবাগানে রয়েছে লাল গোলাপি হলুদ নীলসহ নানা রকম ফুলের সমাহার। সাথে রয়েছে নানান জাতের ফল ও সবজির গাছ। কামলা গাছে ঝুলে আছে কয়েকটি কমলা। স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়। হালকা বাতাসে কয়েকটি ভিন্ন জাতের পাখি কুহু কুহুর ডাকে বাগান মাতিয়ে তুলছে।
ছাদবাগানের মালিক শাহাবুদ্দিন জানান, শখের বসে প্রথম দিকে কয়েকটি ফুলের চারা রোপণ করে পরিচর্যা করতে থাকি। কয়েকমাস পরিচর্যার পর ফুল এলে আমার সাথে সাথে আমার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা আনন্দ উপভোগ করতে লাগে। পরে আমরা দুইজন ছাদে বাগান করার পরিকল্পনা করি। তারপর থেকে আমাদের এই ছাদ বাগানের যাত্রা। তিনি আরো বলেন বাড়িতে গাছ না থাকলে কেমন জানি মরুভূমি মনে হয়। আমি দেশের যে খানে যায় সেখানে কোন ভালো জাতের ফুল ও ফলের চারা পেলে সংগ্রহ করি। প্রতিবেশি ও আত্মীয় স্বজনরা প্রায় আমাদের এই বাগান দেখতে আসেন। সব চেয়ে বেশি ভালো লাগে কীটনাশক বিহীন সবজি উৎপাদন করি। এ ছাড়া বাগান এখন আমার বন্ধু হয়ে গেছে।
স্ত্রী হোসনেয়ারা বলেন বারোবাজার শহরের মধ্যে আমরা যে এমন একটি বাগান গড়ে তুলতে পারবো তা আমার কাছে এখনও ভাবনায় নেই। ফুল ও ফলের গাছ আমার খুব প্রিয়। আমি ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন ফুল ফলের গাছ সংগ্রহ করতাম। এখন ছাদ বাগানে না আসলে শান্তি পাইনা। বেশি সুবিধা হয়েছে আমার স্বামীরও গাছ লাগানোর নেশা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, গ্রাম বা শহরে প্রতি বাসার ছাদে সবারই বাগান করা উচিৎ। এতে করে বাসা ও শহরের পরিবেশ শীতল থাকে। আমরা সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় যে যতটুকু সময় পাই সে ততটুকুই বাগানের পরিচর্যা করে থাকি।
এরকম বড় বাগান ও শহর বা গ্রামে কম দেখা যায়। দেশের প্রত্যেকে উচিত নিজের বাসায় নিজে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রত্যেকেরই নিজ ছাদে ফলজ ও বনজের বাগান করা উচিত।