Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

শৈলকুপায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

এখন সময়: শুক্রবার, ৯ মে , ২০২৫, ০৯:৪১:৪৬ পিএম

মাসুদুজ্জামান লিটন, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় হত্যা ও ধর্ষণ মামলাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, শৈলকুপার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুরে গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র আওয়ামী লীগের দুই সামাজিক মাতব্বর ইউপি সদস্য আকমাল খানের সঙ্গে সাইফুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত বছরের ২৪ জুলাই আকমাল খানের সমর্থকেরা সাইফুল ইসলামের ছেলে রানা আহমেদকে কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনার কয়েকদিন পর সাইফুল ইসলামের সমর্থক সাব্বির (১৮), সাব্বির (১৯) ও বাচ্চু (২০) নামের তিন যুবক প্রতিপক্ষ সমর্থকের স্কুল পড়–য়া এক মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। সেই মামলায় অভিযুক্তরা জেলহাজতে আছেন। ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদী ও সামাজিক দলের লোকজনদের কয়েকদিন ধরেই হুমকি দিয়ে আসছিল সাইফুল মন্ডলের সমর্থকেরা। শনিবার সকালে আকমাল খানের সমর্থক সুজাত বিশ্বাসকে কাশিনাথপুর ব্রীজ এলাকায় মারধর করেন প্রতিপক্ষরা। পরে এই খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে কিছুক্ষণ পরই দুই গ্রæপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঘর্ষে আছালত খান, সেলিম খান, নিজাম খান, তাইজেল খান, গাজের উদ্দিন, সুজাত, রোজিনা খাতুন, ওমর আলী, কুলসুম বেগম, সাদ্দাম হোসেন, তুহিন খান, ইসলাম খান, হোসাইন খান, এবং আমির মণ্ডলসহ উভয় গ্রæপের অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে রোজিনা খাতুন ও আছালত খানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। অন্যান্যদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য আকমাল খানের সর্মথক হাফিজুল বিশ্বাস বলেন, ‘হত্যা মামলায় আমার সমর্থকেরা জেল হাজতে থাকার সময় প্রতিপক্ষের লোকজনেরা ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এছাড়া আসামিদের মাঠের জমির ফসল তারা তুলে নেয়। জামিনে পেয়ে আমরা বাড়িতে আসলে ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে হুমিক দেয় তারা। মামলা তুলে না নেয়ায় শনিবার সকালে আমার লোকজনদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে।’
সামাজিক মাতব্বর সাইফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ‘আমরা তাদের কোনো হুমকি দিই নাই। তারাই আমার ছেলেক হত্যা করে জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। আমি মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায় শনিবার সকালে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমার আব্বাসহ সাত-আটজন গুরুতর আহত হয়।’
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান বলেন, কাশিনাথপুর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)