Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

শার্শা থানার সাবেক ওসিসহ তিন পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

এখন সময়: শনিবার, ১২ জুলাই , ২০২৫, ০৮:৪১:৫৩ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক : শার্শার টেংরালির মহির সরদারকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে আটক করে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় ও মিথ্যা মামলা দেয়ার ঘটনায় শার্শা থানার সাবেক ওসিসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার মহির সরদারের স্ত্রী নাসরিন সুলতানা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী হাফিজ আল মামুন।
আসামিরা হলো, শার্শা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, এসআই শেখ সুজাত আলী ও এসআই মামুনুর রশিদ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৭ সালে নিয়মিত টহলের সময় আসামি এসআই শেখ সুজাত আলী ও এসআই মামুনুর রশিদ মোটরসাইকেল থামিয়ে মিহির আলীর কাগজপত্র চেক করে। এসময় মিহির আলীর কাছে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা ঘুষ দাবি করেছিল। মিহির আলী ঘুষের টাকা না দিয়ে চলে আসে। এসময় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা দেখে নেয়ার হুমকি দেয় মিহির আলীকে।
এরমধ্যে মিহির আলী একটি মামলায় কারাগারে যায়। ২০১৭ সালের ১১ তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে সামনে আসলে আসামিরা সাদা পোশাকে মিহির আলীকে একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে অপরিচিত স্থানে নিয়ে যায়। এদিন মিহির আলীকে খুঁজে না পেয়ে স্বজনের কোতয়ালি থানায় একটি জিডি করেন। পরদিন আসামিরা মিহির আলীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। মিহির আলীর জীবন রক্ষার্থে তার স্ত্রী ধার-দেনা ও জমি বন্দক রেখে ৫ লাখ টাকা জোগাড় করলে আসামিরা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তার বাড়ি এসে টাকা নিয়ে যায়। বাকি ৫ লাখ টাকা না দেয়ায় পরদিন মিহির আলীকে শারিরীক নির্যাতন করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং দুইটি পেন্ডিং মামলা দিয়ে আদালতে চালান করে। পরবর্তীতে মিহির আলী জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)