বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের কচুয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পলাশ শেখ (৩৬) খুন হয়েছেন। আব্দুর রব ও তার লোকজনের হামলায় রবের ভাগ্নে পলাশ খুন হয়। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ফতেপুর বাজারে পলাশকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পলাশকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিহতের লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ জানায় নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে । নিহত পলাশ শেখ কচুয়া উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের আফজাল শেখের ছেলে। নিহতের স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে।
নিহতের মা হেলেনা বেগম জানান, বাবার বাড়িতে পাওয়া জমি জাল দলিল করে নেয় আমার ভাই আব্দুর রব। এই জমি ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে ভাইদের সাথে আমাদের বিরোধ ছিল। কয়েককদিন আগে জমি ফেরত চাইলে রব আমার ছেলে পলাশকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। রাতে রব অন্য একজনকে দিয়ে মোবাইল ফোনে ফতেপুর বাজারে ডেকে নিয়ে পলাশকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
পলাশের স্ত্রী রিমা বেগম বলেন, আমার তিন ছেলে-মেয়ে। আমার বাবা-মা নেই, শ্বশুর-শাশুড়িও বৃদ্ধ। একটু জমির জন্য আমার স্বামীকে মেরে ফেলল, আমি এখন কোথায় যাব। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল আলম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। হত্যাকারীদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।
অভিযুক্ত সাবেক সেনা সদস্য আব্দুর রব চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি। সম্প্রতিক সময়ে কচুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলামকে (২৭) মারধরের অভিযোগ রয়েছে আব্দুর রেেবর নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিরুদ্ধে । রিয়াজুল এখন ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।